• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ১২:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ১২:১০ পিএম

রিফাত হত্যা

মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর

মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

রোববার (২১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মিন্নির জামিনের জন্য শুনানি শুরু হয়।

মিন্নির জামিনের শুনানিতে তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলামসহ মোট ১৩ জন আইনজীবী।

রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সাক্ষী মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে দশটায় বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসে। ওইদিনই রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরের দিন বিকেল সোয়া ৩টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে মিন্নিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। রিমান্ডে নেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ১৯ জুলাই পুনরায় আদালতে হাজির করে মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে মিন্নিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। মিন্নিকে আদালতে হাজির ও স্বীকারোক্তি নেয়ার সময় তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর কোন আইনজীবীর সহায়তা পাননি। আইনজীবী না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে চলে আসলে অনেকেই মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন।

এদিকে, আইনি সহায়তাসহ মামলার খোঁজ-খবর নিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার বিকালে বরগুনা এসেছেন। প্রতিনিধি দলের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর আবু আহম্মেদ ফয়জুল কবির জানিয়েছেন, তারা মিন্নির বাবা-মাসহ অনেকের সাথেই কথা বলেছেন। আরো কয়েকদিন তারা বরগুনায় অবস্থান করবেন। প্রতিনিধি দলের তদন্ত কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান জানান, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তারা রিফাত হত্যার কারণসহ সত্যিকার তথ্য বের করবেন। 

গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন আসামি ধরা পরেছে। যাদের মধ্যে ১৪ জন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন