• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৪, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম

চাঁদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অর্ধশত

চাঁদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অর্ধশত
হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী  ছবি : জাগরণ

চাঁদপুরে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেড় মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় অর্ধশত রোগী চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১০-১২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।

গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সাথে চাঁদপুরেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে।

বাসিন্দারা বলছেন, চাঁদপুরে নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে না করায় এডিস মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর ওইসব মশার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে মানুষজন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসে পুরুষ ওয়ার্ডে ২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং হাসপাতালের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ জন নারী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ১০-১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরুষ ওয়ার্ডে ৮টি বেডের আলাদা ইউনিট করেছে। ওই ইউনিটে মশারি টানিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় দেখা গেছে যে টানা কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে ফুলের টবসহ বিভিন্ন গর্ত, ডোবা, নালা, পানি জমে থাকে। আর ওইসব জমে থাকা নোংরা পানি থেকে দেখা গেছে এডিস মশার উৎপত্তি ঘটে। এসব মশার কামড়ে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে যারাই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাদের অধিকাংশ লোকই ঢাকা থেকে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার জন্য ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

জানতে চাইলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, এ জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ লোকই ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের ধারণা বর্তমানে ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতে মশা নির্মূল করার কোনো স্প্রে ব্যবহার করা হয় না এবং লঞ্চগুলো ঘাটে ভেড়ানোর পর ঠিকমতো পরিষ্কারও করা হয় না। কেবিনগুলোতে উঠলে মশার যন্ত্রণায় ঠিকমতো থাকা যায় না।

এনআই

আরও পড়ুন