• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০১৯, ০৮:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৬, ২০১৯, ০৮:১৮ পিএম

ইউএনসিএটি বাংলাদেশের রিপোর্টে সন্তুষ্ট: আইনমন্ত্রী

ইউএনসিএটি বাংলাদেশের রিপোর্টে সন্তুষ্ট: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ওসংসদ বিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক- ছবি: জাগরণ

বাংলাদেশের আইনের শাসন বিষয়ে প্রতিবেদন জেনেভায় জাতিসংঘ নির্যাতন বিরোধী কমিটির (ইউএনসিএটি) সভায় পেশ করায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ওসংসদ বিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক। 

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষার বিচার ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় শিশু আইন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে শিশুদের সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সালে জাতীয় শিশু শ্রম নির্মূল নীতি প্রণয়ন করে। এরপর ২০১১ সালে সরকার জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করে। এরপর ২০১৩ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের বিধানাবলী অনুসারে নতুন শিশু আইন প্রণয়ন করে এবং এই আইনের কিছু ধারার অস্পষ্টতা দূরীকণের জন্য ২০১৮ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়।

জেনেভায় জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কমিটির (ইউএনসিএটি) সভায় পেশ করা সরকারের প্রতিবেদনের কিছু অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার, জেল হত্যা মামলার বিচার সহ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শেষ করেছি। এরকম সব মামলার বিচার শেষ করেছি। সেক্ষেত্রে আমি যদি দাবি করি, বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেই পদক্ষেপগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা নিয়েছে। তাহলে আমি কি মিথ্যা বলেছি? আপনারা বিচার করুন।

জেনভা সম্মেলনের ইতিবাচক দিকগুলোর বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৮ সালে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগেইন্টস্ট টর্চারের স্টেট পার্টি হিসেবে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। এরপর ২০০১ সাল থেকে ওই কমিটিতে (ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগেইন্টস্ট টর্চার) যে রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিলো তা গত ২০ বছর দেয়া হয়নি। আমরা এবার সে রিপোর্টটি দিয়েছি।

আনিসুল হক বলেন, গত ৪৪ বছরের মোট সাতটি প্রতিবেদন এই সরকার দিয়েছে। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর কি চলেছে দেশে সে প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে। এর আগে জাতিসংঘ ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে । এখনকার বাস্তবতা ভিন্ন। অনেক মামলার বিচার শেষ করেছে সরকার। 

ব্যারিস্টার খোকনের বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আবারো বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার কোন এজাহার করা যায়নি। এটা কি আইনের শাসন? জেল হত্যা মামলার একটি এফআইআর হওয়ার পরও কোন সুরাহা হয়নি। এটা কি আইনের শাসন? ক্লিনহার্ট অপরাশেন কি আইনের শাসন? সেই সময়ের তথ্য আর এখনকার তথ্য তুলে ধরলে স্পষ্ট হবে আইনের শাসন কখন ছিল।

আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টমো হোজুমির এবং প্রকল্প পরিচালক গোলাম সারোয়ার।


টিএইচ/টিএফ
 

আরও পড়ুন