• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২০, ০৯:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২০, ০৯:০৮ পিএম

কোভিড-১৯

৪ জেলায় ১৫ জন আক্রান্ত, বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ ফেরত

৪ জেলায় ১৫ জন আক্রান্ত, বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ ফেরত
প্রতীকী ছবি

দেশের ৪ জেলায় ১৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরে আক্রান্ত ৬ জন, ৩ জন করে আক্রান্ত হয়েছে জামালপুর ও গাইবান্ধায়। এ ছাড়া ঝালকাঠিতে একই পরিবারের ৩ জন আক্রান্ত। বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

গাজীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) একজন ও শনিবার (১১ এপ্রিল)  ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দারাবাদ শুকুনদ্দীরবাগ এলাকায় ২ জনের করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ৪ দিন আগে স্বাস্থ্য কর্মীরা শুকুনদ্দীরবাগ এলাকার মোট ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। ৯ জনের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ২ জন ভাতিজি করোনা পজেটিভ বলে জানা গেছে। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এসে জনপ্রতিনধির বাড়িসহ মোট ৭টি বাড়ি লকডাউনের আওতায় এনে সম্পূর্ণ এলাকা মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

মহানগরের কাশিমপুর এলাকা থেকে একই পরিবারের ৫ জনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসলোশনে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডাক্তার খলিলুর রহমান জানান, একজনের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় ৫ জনকেই আইসলোশনে রাখা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জামালপুর

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত দুই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

নতুন করে আক্রান্ত ওই তিনজনের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে তাদের নমুনায় পরীক্ষার রিপোর্টে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩৮ বছর বয়সী বাবুর্চি এবং নারায়ণগঞ্জ ফেরত দুই নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে তিনজনের রিপোর্টে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি জানা যায়। করোনা আক্রান্ত ওই বাবুর্চি বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে বসবাস করে এবং নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ওই দুই নারী সম্প্রতি ছুটিতে দেওয়ানগঞ্জের চরভবসুর সর্দারপাড়া নিজ গ্রামে আসে। তাদের তিনজনকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে আনা হচ্ছে। এই তিনজনকে নিয়ে জামালপুর জেলায় সর্বমোট ৭ জন করোনা আক্রান্ত হলেন।

ঠাকুরগাঁও 

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে জেলার হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের দুইজন ও একজন পীরগঞ্জ উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, করোনায় আক্রান্ত তিনজনের বয়স ১৮ থেকে ৩১ বছর। তারা সবাই নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে সপ্তাহখানেক পূর্বে জ্বর নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আসলে তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন ওই ৩ জনের সবার শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত ৩ জনকে নিজ নিজ উপজেলায় আইসোলেশন রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এছাড়া তাদের পরিবারের সবাইকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে একই পরিবারের তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ ও দুই জন শিশু। তারা সাম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে। এর প্রেক্ষিতে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তারা তিনজনই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

ঝালকাঠিতে এ পর্যন্ত ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জেলার সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবেশ করা ৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এখন ঝালকাঠি জেলায় ৭৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

এসএমএম

আরও পড়ুন