• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২১, ০২:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৪, ২০২১, ০৩:১২ পিএম

ফসলি জমি ধ্বংস করে মাছের ঘের

ফসলি জমি ধ্বংস করে মাছের ঘের

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়ায় ইউনিয়নে ফসলি জমি ধ্বংস করে মাছের ঘের খনন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ী স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী নেতাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে ভ্যাকু মেশিনের মাধ্যমে এসব ঘের খনন করছেন। ফলে এলাকায় দ্রুত কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে দুইবছর আগে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ  তারিখে কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন বা পুকুর খনন না করার আদেশ দেন। পাশাপাশি কোথাও ফসলী জমি কেটে পুকুর খনন কাজ চললে উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে পুকুর খনন কাজ শুরু করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন দরে উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রধানীয়াকান্দি গ্রামের ৪২০ কাঠার একটি ফসলি জমি খনন করে ঘের করা হচ্ছে। সেই ঘেরটি খনন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ইমামুল হক সরদার নাকে এক মৎস্য ব্যবসায়ী।

অভিযোগ উঠেছে, ওই মৎস্য ব্যবসায়ী জমির মালিকদের বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিগুলো বার্ষিক ইজারা নিচ্ছেন। এরপর সেই জমিগুলোতে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে খনন করে ঘের তৈরি করছেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে যাওয়ার আগেই ভ্যাকু মেশিন চালকসহ সকলেই পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ২টি ভ্যাকু মেশিনের চাবি জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

এ ব্যাপারে মৎস্য ব্যবসায়ী ইমামুল হক সরদার বলেন, “ইউএনও স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছে। স্যারকে মুচলেকা দিয়ে আমি আমার চাবি নিয়েছি। আমার অল্প একটু খননের কাজ বাকি ছিল তাই মাটি কাটতেছি।”

স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে যত্রতত্রভাবে মাটি কেটে ঘের খনন করায় বেশিরভাগ এলাকায় দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি বছর নিচু জমিতে থাকা লাখ লাখ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ বলেন, “দক্ষিণ তারাবুনিয়া ফসলি জমি কেটে ঘের খনন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সেখানে গিয়েছিলাম। দুইটি ভ্যাকু মেশিনের চাবি জব্দ করে আনা হয়েছিল। পরে ইমামুল হক সরদারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে চাবি দেয়া হয়। আর কাজ করার জন্য নিষেধ করা হয়। যদি সে আবার ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”