• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১, ০২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০২১, ০২:২৩ পিএম

রাবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, গুলি করার হুমকি

রাবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, গুলি করার হুমকি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থানরত দুর্নীতি বিরোধী সমাজের শিক্ষকদের গুলি করে মারার হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সিন্ডিকেট সভা তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষকদের বাধার মুখে ১১টার দিকে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপাচার্যের এই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকেরা।

এর আগে থেকেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।

সকাল ১০টা ১৫টার দিকে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্য তার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষকেরা। এ সময় ছাত্রলীগকে নিবৃত্ত করার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে অনুরোধ জানান শিক্ষকেরা।

এক পর্যায়ে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই শিক্ষকদের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন। এ সময় প্রক্টরও লাঞ্চিত হয়েছেন।

এ ঘটনার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে এক যুবক শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়। সংবাদকর্মীদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখা যায়।

জানা যায়, ওই যুবকের নাম আকাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকার বাসিন্দা। তবে আকাশ রাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, আকাশ নামের ওই যুবক চাকরি প্রত্যাশী। সে স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের মধ্যে বাংলা বিভাগের শিক্ষক শফিকুন্নবি সামাদী বলেন, “আমরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এমনকি আমাদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এভাবে হুমকি দেয়ার সাহস কেউ রাখে না। এটি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দায়ী।”

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এ জন্য সকলের সাহায্য প্রত্যাশা করছি।”