
কড়া নিষেধাজ্ঞার ভেতরও যাত্রীর চাপে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
শনিবার (৮ মে) দুপুর থেকে ফেরিগুলো ছাড়া হয়। ছয়টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হলেও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। যাত্রীদের ভোগান্তি ও বাস্তবতা বিবেচনায় দুপুর দেড় টার দিকে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল নয়টার দিকে পাটুরিয়া ২ নম্বর ঘাটে একটি লাশবাহী, তিনটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়িসহ অসংখ্য যাত্রীকে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। এ সময় ওই সব অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য মাধবীলতা নামের একটি ছোট ফেরি পন্টুনের কাছে গেলে অসংখ্য যাত্রী পন্টুনে ভিড় করে। পরে বাধ্য হয়ে ফেরিটি আর পন্টুনে ভেড়েনি। এ সময় ৩ নম্বর ঘাটে শাহ আলী নামের একটি বড় ফেরি পন্টুনে আনা হয়। এ সময় ওই সব যাত্রী এই ফেরিতে উঠে পড়ে। এরপর মাধবীলতা ফেরিটি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টা শাহ আলী ফেরিতে উঠে যাত্রীরা নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা যাত্রীদের ফেরি থেকে নামার অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। একপর্যায়ে ফেরি চালু না করায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ফেরিটি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয়। এরপর থেকে ছয়টি ফেরি দিয়ে সীমিতভাবে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার শুরু হয়।