• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২১, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৬, ২০২১, ০৮:০০ পিএম

স্বামীকে হত্যা করে রিমান্ডে স্ত্রী

স্বামীকে হত্যা করে রিমান্ডে স্ত্রী

সিলেটে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শিপা বেগমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৬ জুন) রিমান্ড শুনানি শেষে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য মরদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত করার জন্য আরেকটি আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

ইয়াছিন আলী বলেন, ‘‘আবেদনের প্রেক্ষিতে কী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত সেই আদেশের কপি এখনও আমরা পাইনি। আদেশের কপি পাওয়ার পর পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’’

গত মঙ্গলবার (১ জুন) 'পরকীয়া প্রেমিক' শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামিসহ মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় পুলিশ বুধবার (২ জুন) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ৩টার দিকে তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এস এম আব্দুল গফুর জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন নগরীর তালতলা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তার অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামের একজনের সঙ্গে। এর জেরেই আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। তিনি গত ৩০ এপ্রিল তারিখে সেহরি খেয়ে ঘুমান। পরদিন দুপুর প্রায় ৩ টার দিকে স্ত্রী সবাইকে জানান আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। পরে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারে পরকীয়ার জেরে তাকে স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন। এজন্য গত মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে আদালতে শুনানি শেষে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।