• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম

লাশ ফেলার নিরাপদ স্থান কায়েতপাড়া, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

লাশ ফেলার নিরাপদ স্থান কায়েতপাড়া, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
সংগৃহীত ছবি

লাশ ফেলার নিরাপদ জোনে পরিণত হয়েছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত কায়েতপাড়া গ্রাম। গত ৪ বছরে এ গ্রামের আশপাশ থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ক্রমেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। গ্রামটিতে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাও রয়েছে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামটি নিরিবিলি ও দুর্গম। ফলে এ এলাকার আশপাশে ও জিয়সতলায় মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়া বসে। গত ৪ বছরে এ গ্রামের আশপাশ থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন নারী ও একজন পুরুষ। বিগত ২০১৮ সালে কায়েতপাড়ার টেকের ডোবা থেকে ক্ষতবিক্ষত অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ২০১৯ সালে ঠাকুরের পুকুর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে জিয়সতলা থেকে আগুনে পোড়া অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৬ জুন কায়েতপাড়ার বিল থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কায়েতপাড়া গ্রামের কবির হোসেন, সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ও শুভ সপ্তাহের দু থেকে তিনদিন বাহির এলাকা থেকে নারী এনে ফূর্তি করে এবং আসর জমায়। কবির এর আগেও নারীর খদ্দের হিসাবে ব্যবসা করতো। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কায়েতপাড়া গ্রামে প্রতিদিন অচেনা লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। গ্রামের পাশে একটি কারখানা হওয়ার পর থেকে অচেনা লোকজনের ভীড় বাড়ছে। ফলে প্রায় অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কায়েতপাড়া গ্রামের এক যুবক বলেন, এসবের নেপথ্যে কবির, আমিনুল ও শুভর হাত থাকতে পারে বলে গোটা এলাকাবাসী ধারণা করছে। কবির আগে নারীর ব্যবসা করতো। এছাড়া জিয়সতলা ও এর আশপাশে  প্রতিদিন জুয়া ও নেশার আসর বসে। এলাকাবাসী বলেন, নিয়মিত রাতে পুলিশ এসে ঘুরে গেলে অপরাধ থাকবে না। 

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, কায়েতপাড়া এলাকায় নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হবে। 

জাগরণ/এমআর