• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২১, ০২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৫, ২০২১, ০২:৫৭ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর লকডাউন মানছে না মানুষ

ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর লকডাউন মানছে না মানুষ

দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও। এ জেলার ৫টি উপজেলার ৪টিই সীমান্ত ঘেঁষা। এখানে দিন দিন যেমন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর তালিকা। শহর জুড়ে করোনা শনাক্ত হচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর চাপ। 

এদিকে, কঠোর লকডাউনেও বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছেন না। দোকানপাট, কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শহরে ঢিলেঢালাভাবেই পার হচ্ছে সাত দিনের লকডাউনের পঞ্চম দিন। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৮৬৫ জন, যাদের মধ্যে ২৩৬৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।

শহরের কালীবাড়ি বাজারের মাছের পাইকারি আড়ৎ, মাংসের দোকান ও সাধারণ পাঠাগারের আমের বাজারে লোকজনের সমাগম দেখা গেছে । এছাড়াও কালিবাড়ি বাজারে বিভিন্ন দোকানগুলোতে মানুষকে গাদাগাদি করে বিভিন্ন পন্য ক্রয় করতে দেখা গেছে। লকডাউন ঘোষিত শহরের কালীবাড়ি মাছের আড়তে গাদাগাদি করে মাছ কিনছেন ক্রেতারা। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে দু-একজন বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়বেন।  এসব দেখে মনে হচ্ছে কোন প্রকার করোনা নেই ঠাকুরগাঁওয়ে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। শহরের প্রধান সড়কে একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও অনেক মানুষ বাহিরে ঘুরাফেরা করছে। অনেক দোকান অর্ধেক সাটার খুলে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও দেখা মেলেনি জেলা প্রশাসক, এডিসি কিংবা এনডিসির মত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ।

জেলা সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন,মহামারির এ দুঃসময়ে জেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

জাগরণ/এমআর