• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১, ১০:৩৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০২১, ১০:৩৮ এএম

রূপগঞ্জে আগুন

যে কারণে এমন প্রাণহানি

যে কারণে এমন প্রাণহানি
আগুনে পুড়ছে হাসেম খান ফুড কারখানা ● সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, ‘আমরা গাড়ির মই সেট করে ছাদ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। বাকিরা যদি ছাদে উঠতে পারত, আমরা কিন্তু বাঁচাতে পারতাম। ছয়তলা ভবনের ছাদে ওঠার জন্য দুটি সিঁড়ি রয়েছে, যার একটির দরজা বন্ধ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ তলায় যারা ছিলেন, সেখান থেকে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি তালাবন্ধ ছিল। আর নিচের দিকে সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছিল ভয়াবহ আগুন। উনারা নিচের দিকেও আসতে পারেন নাই, তালাবন্ধ থাকায় ছাদেও যেতে পারেন নাই।’

দেবাশিষ বর্ধন বলেন, ওই কারখানায় কেমিক্যালসহ প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। প্লাস্টিক, ফয়েল, কাগজ, রেজিন, তেল, ঘিসহ তৈরি করা মালপত্রসহ বিভিন্ন পদার্থ ছিল। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে এবং বেগ পেতে হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও শ্রমিকরা বলেন, একদিকের আগুন নেভালে অন্যদিকে আবার ধরে যায়। ভবনটি কয়েকটি ইউনিটে বিভক্ত। আগুন সব ইউনিট ও তলায় পৌঁছে গিয়েছিল, এ কারণে নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। আর সেখানে তেলও ছিল। চার তলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একসঙ্গে ২৫টি লাশ পাওয়া গেছে।

কলকারখানা পরিদফতরের মহাপরিদর্শক  নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কারখানার কোনো ত্রুটি বা দায় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি আমরা গঠন করেছি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে আমরা সাত সদস্যের আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বিকেলে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বলেন, ‘তদন্ত করে এই ঘটনায় কারো দায়-দায়িত্ব কী আছে, সেটা দেখা হবে। কারো গাফিলতি থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

জাগরণ/এম

আরও পড়ুন