• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২১, ১০:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম

তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিলীন ঘর-বাড়ি, দিশেহারা মানুষ

তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিলীন ঘর-বাড়ি, দিশেহারা মানুষ

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ভাঙনের কবলে ঐতিহ্যবাহী চিললমাড়ী গ্রাম, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গত কয়েকদিনে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে পানি ওঠানামা করেছে। ২০ জুলাই তিস্তার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পরের দিন ২১ জুলাই ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২২ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২৩ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২৪ জুলাই ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।

পানি বাড়া কমার সাথে তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন।

স্থানীয়রা জানান, গত তিনদিনে ৯টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন গেছে। ভাঙনের খুব নিকটে আছে সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক।

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল আমিন জাগরণকে বলেন, ‘আমি এমপি মহদয়ের নির্দেশে পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মহদয়কে অবগত করেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়া নদী ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড অবগত কি—না এমন প্রশ্নে তিনি কথা উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলতে বলতে ক্লান্ত। তাদের বারবার বলার পরেও কাজ করছে না। ৩০ ভাগ কাজও তারা করে না। এবার ভাঙনেও বারবার বলা হচ্ছে। তারা মাঠে কাজ করছে না। তারা যদি কাজ না করে তাহলে ৪০০ পরিবারের একটি গ্রাম বিলীন হতে পারে। উঁচু কোনও চরে এই পরিবারগুলোকে যে আশ্রয় দিবো, এমন কোনও চরও নেই। আমার একটি ওয়ার্ড এখন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে।’

জাগরণ/এমআর/এমএ