• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা ভারি বৃষ্টিতে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার লামা ও আলীকদমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যার ফলে জেলার সাথে এই দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বান্দরবানে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার লামা-আলীকদম উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে গেছে, বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লেও হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে বুধবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারনে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।

আরো জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকার কারনে জেলার উপজেলাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। লামা পৌরসভা এলাকা. লামা সদর, গজালিয়া, রূপসীপাড়া, সরই, আজিজনগর, ফাঁসিয়াখালী ও ফাইতং ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। 

জেলার লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ভারী ভর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় কাঁচা মালের দামও নিম্নমুখী। বন্যায় দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে ফসলের জমি, ফলে ফসল পঁচতে শুরু করেছে। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ফসলসহ কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি। সেসব এলাকা প্লাবিত হয়নি সেসব এলাকার কৃষিপণ্য জেলার বাইরে নিতে না পারায় পণ্যের দাম পাচ্ছে না কৃষক। 

এদিকে ফসল হারিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে। বেশির ভাগ কৃষক এনজিও, ব্যাংক অথবা চড়া সুদে  বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে ধানসহ বিভিন্ন সফল আবাদ করেছে। এখন বন্যায় ফসলহানিতে তারা দুই চোখে অন্ধকার দেখছে।

লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক তদারকি করার জন্য কমিটি গঠন করার পাশাপাশি প্লাবিত লোকজনকে নিরাপদে কিংবা আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সায়েদ ইকবাল জানান, নিম্নাঞ্চলের যেসব ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। যেসব কৃষকের ফসল পানিতে ডুবে গেছে তাদের জন্য সরকারি ভাবে কোন নির্দেশনা আসেনি। তালিকা তৈরী ও প্রণোদনা দেওয়ার নিদের্শনা আসলে, তা অবশ্যই দেওয়া হবে। 

জাগরণ/এমআর