• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ১১:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২১, ০৬:১৩ পিএম

চার বছরেও সেতু সংস্কার হয়নি, পারাপারে দুর্ভোগ

চার বছরেও সেতু সংস্কার হয়নি, পারাপারে দুর্ভোগ
হেলেপড়া সেতুটি সংস্কার করা হয়নি ● জাগরণ

জলঢাকা (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় গত চার বছর আগে বন্যায় হেলেপড়া সেতুটি আজও সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের ১ নং ডাউয়াবাড়ি চরভরট ওয়ার্ড। এ-ই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইউনিয়ন  অফিস, বাজার ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। আর চলাচল অনুপযোগী সেতুটি রয়েছে এই সড়কে। ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট বন্যার পানির স্রোতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে  চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া জানান, আমাদের স্থানীয় নেকবক্ত ও উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এই সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি ত্রাণের টাকায় নির্মিত হয় ২০১৭ সালে। সে সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এবং সড়ক ও সেতু  চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসী সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই বালুও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান বাঁশের সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন জানান, সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। সেই সময় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, গত  ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি দ্রুত মেরামত করা হোক।

জাগরণ/এমআর/এমএ