• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২১, ০৪:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৫, ২০২১, ০৪:৩০ পিএম

সরকারি ঘরে বদলে গেছে জীবনমান

সরকারি ঘরে বদলে গেছে জীবনমান

কেউ থাকতো অন্যের বাড়িতে আবার কেউ অন্যের জায়গায় বা খাসজমিতে। তাদের ছিলোনা কোন স্থায়ী ঠিকানা। পঞ্চগড়ের এমন দুই হাজার ৪১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেয়া হয়েছে। এসব ঘর পেয়ে বদলে গেছে সুবিধাভোগিদের জীবনমান। এই সুবিধার আওতায় এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীরাও।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে এই ঘর গুলো করা হয়। প্রত্যেকটি ঘরে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘরগুলো পেয়ে হাসি ফুটেছে একসময়ের ছিন্নমূল, আশ্রয়হীন এবং দুর্ভোগ পোহানো মানুষগুলোর। মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা নিরাপদ, টেকসই ও মজবুত পাকা ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন।

কথা হয় বোদা উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপকারভোগী লক্ষীরাম হাসদার সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে আমরা ছোট ভাঙ্গা ঘরে থেকে শিশু সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টিতে। অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হতো। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি সিটমহলের আবু ইব্রাহীম বলেন, ৬৮ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন আমরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। সুবিধা বঞ্চিত অসহায় এই মানুষ গুলো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নতুন ঘর পেয়ে ঘরের কষ্ট দূর হয়েছে। শেষ বয়সে সরকারের দেয়া অনেক সহযোগিতা পেয়ে এখন আমরা অনেক সুখে আছি।

হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার সুবিধাভোগী ওমর আলী বলেন, নিজের জমি না থাকায় দীর্ঘ সময় মানুষের জায়গায় ঝুপরি ঘর তুলে থাকতাম। একটা সময় সামান্য জায়গা নিজের নামে কিনতে পারলেও ঘর করার সামর্থ্য হচ্ছিলোনা। সরকার আমাকে ঘর করে দিয়েছে। এখন নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারছি। পাকা ঘরে থাকবো কখনো স্বপ্নেও দেখিনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নির্মানকৃত পঞ্চগড়ে দুই হাজার ৪১৬টি ঘরের মধ্যে বিলুপ্ত সিটমহলবাসীদের মধ্যে পেয়েছে ১৩০ পরিবার এবং ১২০টি ঘর পেয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার। অবশিষ্ঠ ঘরগুলো পেয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারগুলো।

জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘরগগুলো স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতি মধ্যে যারা ঘর পেয়েছেন তারা আনন্দে স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছেন। এছারাও করোনাকালে এসকল দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার- খাদ্য সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার যেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।