• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১, ১১:৩১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২১, ১১:৩১ এএম

ভুয়া ওয়ারেন্টে ৫ দিন কারাবাস

ভুয়া ওয়ারেন্টে ৫ দিন কারাবাস

ভুয়া ওয়ারেন্টে ৫ দিন কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন নরসিংদীর  আব্দুর রশিদ (৬২) নামে এক বৃদ্ধ। পরে আদালতে এই পরোয়ানা অসত্য প্রমাণিত হলে গতকাল সোমবার নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। আব্দুর রশিদ মনোহরদী উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু সাইদ সিদ্দিকী টিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুর রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মনোহরদী থানার তারাকান্দি গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ কৃষক ৫ সন্তানের জনক আব্দুর রশিদের বাড়িতে হাজির হন মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক। এ সময় কৃষক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম কোর্ট) সাজার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের এমন অভিযোগে হতভম্ব হয়ে পড়েন বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকা ও সাজার পরোয়ানার ঘটনাটি আরও নিশ্চিত হতে সময় দেয়ার অনুরোধ করলেও সে সুযোগ দেয়নি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় রোববার গ্রেপ্তারকৃত ওই বৃদ্ধের স্বজনেরা জেলার আইনজীবীদের পরামর্শে ঢাকার সিএমএম কোর্টের আইনজীবী আবু সাইদ সিদ্দিকী টিপুর মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ সিএমএম কোর্টে দাখিল করেন। এ সময় আদালতে এ ধরনের মামলার (হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত) নথি না থাকা ও ওই পরোয়ানা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে সোমবার দুপুরে মুক্তি পান আব্দুর রাশিদ। বিনা অপরাধ ও মামলায় ওই বৃদ্ধের পাঁচদিনের কারাবাসে বিস্মিত পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদের ছেলে মাজহারুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম জানান, আমার বাবার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তিনি একজন নিরীহ বৃদ্ধ কৃষক। পুলিশ যাচাই না করে ভুয়া পরোয়ানা আমলে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি পাঁচদিন কারাগারে ছিলেন। সোমবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন। কোন জালিয়াত চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই হয়রানির ঘটিয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

আইনজীবী মো. আবু সাইদ সিদ্দিকী টিপু জানিয়েছেন, যে স্মারক নম্বরে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল সেটা সংশ্লিষ্ট আদালতে খোঁজ করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কেউ পরোয়ানার কাগজপত্র বা অন্যান্য তথ্য কারসাজি বা জালিয়াতি করে হয়তো এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে আদালত তাকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করাই পুলিশের কাজ। তবে এক্ষেত্রে কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জাগরণ/এমআর