• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম

দীপকের দেয়া তথ্যে মিল খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি!

কবে চুরি হয়েছে ৮৭৪৯ ফিসপ্লেট?

কবে চুরি হয়েছে ৮৭৪৯ ফিসপ্লেট?

মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া জংশনে ৮৭৪৯টি ফিস প্লেট চুরির ঘটনায় তিন কার্যদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারনে থেমে আছে তদন্ত প্রতিবেদন। আবার চুরি হওয়া এই বিপুল পরিমাণ ফিস প্লেটের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু বিপরীতমুখী তথ্য।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অবসরে যান বোনারপাড়া জংশনের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে) দীপক কুমার সিংহ। সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে পরে তিনি নতুন দায়িত্বে আসা কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলামকে গোডাউনের মালামাল হস্তান্তর করছেন। এর আগে মাজেদুল ইসলাম বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নিজ জিম্মায় সরকারি গোডাউনের মালামাল  কুক্ষিগত করে রাখা ও সেই গোডাউনের মালামাল চুরি হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে দেয়া দীপক কুমার এর বক্তব্য অনেকটাই বিপরীত এবং অস্পষ্ট।

এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান জাগরণকে বলেন, অবসরের পরেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব বুঝে না দেওয়া নিয়ে তিনি নিজেই প্রশ্ন তুলে বলেন, এতদিনে চারজন কর্মকর্তা সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তার দায়িত্ব বুঝে দেওয়া উচিৎ ছিল। তাছাড়া যে গোডাউনে  প্রায় ৫০টন ওজনের ফিসপ্লেট গুলো সংরক্ষণ করা ছিল তার মেঝে নরম এবং স্যাঁতস্যাঁতে। কারন, গোডাউনের পাশেই রেল লাইন। বৃষ্টির পানি গড়ে গোডাউনের গোড়া দিয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি হয়। ফলে গোডাউনের ভিতরের মাটি নরম হয়ে ছিল। ফিসপ্লেট গুলো এই গোডাউনে সংরক্ষণ করা থাকলে এবং সম্প্রতি চুরি হলে মাটি ডেবে সেখানে দাগ হয়ে থাকতো। এ ধরনের আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ দীপক কুমার সিংহ বলছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মাজেদুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে জুলাই/আগস্ট এই ছয় মাসের মধ্যে এই মালামাল চুরি হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কবে মালামাল গুলো আপনি গোডাউনের হিসেবে আপডেট করেছিলেন? এমন প্রশ্নে দীপক কুমার সিংহ জাগরণকে বলেন, আমি সর্বশেষ ফেব্রুয়ারীতে গোডাউনে মালামাল গুলো হিসেব করে দেখেছি। তখন ফিসপ্লেটগুলো গোডাউনেই ছিল। তখন তো মাজেদুল ইসলাম দায়িত্বে এসেছিলেন, তাকেও তো গোডাউনের হিসেব বুঝিয়ে দিতে পারতেন? জবাবে তিনি জানান, এই ৭৪০০টি ফিসপ্লেট ২৫ বছর আগে গোডাউনে সংরক্ষণ করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে আমি দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন কারনে কোন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝে দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে অবসরে যাওয়ার আগ মহুর্তে  সরকারকে কয়েক টন মালামালের নিলাম দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ মালামাল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে, সে সময়ই কি তবে এই ফিসপ্লেট গুলো চুরি হয়েছে? জবাবে 'তদন্ত চলছে', এ ব্যাপারে পরে কথা হবে বলে তিনি জানান।