• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০১:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০২১, ০১:৩২ পিএম

রাজবাড়ীতে ভাঙন হুমকিতে দুই শতাধিক পরিবার

রাজবাড়ীতে ভাঙন হুমকিতে দুই শতাধিক পরিবার

ইমরান হোসেন, রাজবাড়ী

নদীতে স্রোতের তীব্রতায় দৌলতদিয়া ৩ ও ৪ নং ফেরি ঘাট এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ৪ নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ ভাঙনে পাঁকা মসজিদ সহ এখানকার প্রায় ২৫ টিরও বেশি বসতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আারো অনেক পরিবার তাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে ২ শতাধিক বসতবাড়ি সহ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।

সকাল থেকে হঠাৎ তীব্র নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পরেছেন এখানকার মানুষেরা। বার বার ভাঙনের কবলে পরে এখন তারা মারাত্বক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পরেছেন। তবে ভাঙন কবলিতারা বলেন, আগে এসব স্থানে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে আজ এমন পরিস্থিততি হতোনা।

ভাঙন লেগেই আছে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায়। গত কয়েকদিন আগে ৩, ৪ ও ৫ নং নং ফেরি ঘাটে ভাঙন দেখা দেয়। এতে বেশ কিছু স্থানে জিও ব্যাগের বস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তবে সেসময় এসব ভাঙ স্থানে কোন ধরনের বালু ভর্তি বস্তা ফেলানো হয়নি। আজ সকালে যখন ভাঙ শুরু হয় তার পর থেকেই ভাঙন স্থানে বালু ভর্তি বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হয়। অথচ আগেই এসব স্থান মারাত্বক ভাবে ভাঙনের হুমকিতে ছিল। আজকের এই ভাঙন স্থানে বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হলে এখানকার পাকা মসজিদ ও শত শত বসতি নদীতে বিলীন ও শতশত পরিবার হুমকিতে পরতনা। গত জুন মাসের প্রথম দিকে লঞ্চ ঘাট সহ প্রায় ৩০ টি পরিবার নদীতে বিলীন হয়েছিল।

ভাঙন কবলিতরা বলেন, সকালে হঠাৎ ৪ নং ফেরি ঘাটের স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এভাঙনের কারণে এখানকার পাঁকা মসজিদ ও ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরো প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি ঘর হুমকিতে পরেছে। কর্তৃপক্ষ আগে এ স্থানে ব্যবস্থা নিলে আজ এখানে এমন ভয়াবহ ভাঙ হতনা বলৈ দাবী করেন ভুক্তভোগী স্থানীয়রা।

বিআডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, সকালে হঠাৎ যখন এ স্থানে ভাঙ শুরু হয় তখন এখানে জরুরী ভাবে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় বালু ভর্তি বস্তা ডাম্পিং শুরু করা হয়। এরআগেও এ স্থানে বাণুর বস্থা ফেলার হয়েছিল বলেন এবং এই বালুর বস্তাসহ মসজিদসহ বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।