• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম

শিবপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে জায়গা দখল

শিবপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে জায়গা দখল

নরসিংদীর শিবপুরে আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আইয়ুবপর ইউনিয়নের ভুরভুুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ভুরভুরিয়া গ্রামের সেকান্দরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম তার সহযোগীদের নিয়ে প্রতিবেশী সরকারী কলেজ শিক্ষক জাহিদ হাসান ও সরকারী স্কুলের কর্মচারী নাজমা বেগমের পৈত্রিক জমি দখলের জন্য বাড়ি নির্মান করার চেষ্টা করে। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নাম ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা এসব অপকর্ম করে বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, মুজিবুর রহমানের এক ছেলে কলেজ শিক্ষক জাহিদ হাসান বর্তমানে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন অপর ছেলে রাসেল অস্ট্রেলিয়া এবং মেয়ে নাজমা বেগম নরসিংদী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চাকুরীর সুবাধে বাড়িছাড়া। বাড়িতে একমাত্র বৃদ্ধা মা বসবাস করায় লোকশুন্য বাড়ি। এই অবস্থায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ও রুবি বেগম জায়গা জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় জমি রক্ষার্থে নাজমা বেগম আদালতের স্বরনাপন্ন হয়। আদালত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উক্ত জায়গায় উভয়পক্ষের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করে। 

শিবপুর থানার এএসআই নুরুল ইসলাম ওই জমিতে স্থগিতাদেশ কার্যক্রমের জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশও প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে রুবি, কুহিনুর, দেলোয়ার, হাবিবুর ও আবুল বাসার উক্ত স্থানে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করে। এমতাবস্তায় শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এএসআই নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পায়। এই প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ কাজ বন্ধ রাখর নির্দেশ দেন এবং আদালতের প্রতি সম্মান জানাতে অনুরোধ করেন। থানা পুলিশ নির্মান কাজ বন্ধ করে চলে আসার সাথে সাথেই কতিপয় ব্যক্তিরা পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এই অবস্থায় ওই জমি নিয়ে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটেত পারে বলে আতঙ্কগ্রস্ত শিক্ষক পরিবার। 

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ভুরভুরিয়া গ্রামে উক্ত জমির ঘটনায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়নেআইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থানা পুলিশের মাধ্যমে উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ প্রদানের পরও একটি পক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করেছে মর্মে খবর পেয়ে থানা পুলিশকে পাঠালে সেখানে গিয়ে পুনরায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসে। এখন আইন অনুযায়ী যা করার তাই করা হবে।