• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম

ফরিদপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, এসপির ত্রাণ বিতরণ

ফরিদপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, এসপির ত্রাণ বিতরণ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে জেলা পুলিশ।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান শনিবার বেলা ১১ টার দিকে পোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া চর আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে এসব ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।

এসময় আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালি সার্কেল) সুমন কর, আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান, গোপালপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরী বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেমায়েত হোসেন তালুকদার সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙনে যারা শিকার হন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যান। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর। বিষয়টি বিবেচনা করে ফরিদপুরের পুলিশ বিভাগ তাদের পাশে সামান্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে মাত্র।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী ভাঙন একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নদী পথ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করা যায় নদী ভাঙনরোধ সম্পূর্ণরুপে রোধ করা সম্ভব হবে।

এসময় পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান সরেজমিনে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পাউবোর অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাঙনরোধে গৃহিত কাজের মান তদারকি করেন।

পাউবোর নির্বাহী প্রকোশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে গত এক মাস আগে থেকে মধুমতি নদীতে ভাঙন শুরু হয়। পনের দিন আগে থেকে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলছে। স্থায়ীবাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনরোধের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য।

এদিকে জেলার পদ্মানদীর পানি গত ২৪ঘন্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। জেলার সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর, ভাঙা ৪টি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষ্যাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এই সকল এলাকার প্রায় দেড়শতাধিক গ্রামে ফসলী ক্ষেত, রাস্তা, নিচু এলাকার বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়াও নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে মধুখালী, আলফাডাঙ্গা ও সদরপুরের বিভিন্ন অংশে।