• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০৫:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০৫:১৭ পিএম

তুচ্ছ ঘটনায় টেঁটাযুদ্ধ

তুচ্ছ ঘটনায় টেঁটাযুদ্ধ

তুচ্ছ ঘটনাকে কন্দ্র করে নরসিংদীর চরাঞ্চলে ফের টেটাযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আর এতে এখন পর্যন্ত দুজন টেটাবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঢুকে দুজনকে টেঁটাবিদ্ধ করা হয়। 

তাদের দুজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। টেঁটাবিদ্ধ দুজন হলেন- সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুরের দিলারপুর গ্রামের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. শাজাহান মিয়া (৬০) এবং মো. জালু মিয়ার ছেলে মো. বারেক মিয়া (৫৫)। তাদের মধ্যে মো. শাজাহান মিয়া বা পায়ের উরুতে এবং মো. বারেক মিয়া কোমরের পেছনের অংশে টেঁটাবিদ্ধ হন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়াবাড়ি ও ফকিরবাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। দুদিন আগে একটি তুচ্ছ ঘটনায় এই দুই বংশের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। এর জের ধরেই আজ মিয়াবাড়ির মো. শাজাহান মিয়া ও মো. বারেক মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।

টেঁটাবিদ্ধ দুজনের স্বজনরা জানান, সকালে হঠাৎ করেই ফকিরবাড়ি বংশের একদল সদস্য টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা মো. শাজাহান মিয়া ও মো. বারেক মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তাদের দুজনকে টেঁটার আঘাতে বিদ্ধ করেন। ঘটনার সময় তারা দুজন যার যার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আমীরুল হক শামীম জানান, দিলারপুর থেকে দুজনকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের কোমরের পেছনের অংশে এবং অন্যজনের বাম পায়ের উরুতে টেঁটাবিদ্ধ হন। টেঁটা অপসারণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাদল সরকার জানান, দুজন টেঁটাবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে কিভাবে কী ঘটল তার বিস্তারিত জানতে পারিনি।

নরসিংদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন জানান, এলাকায় বংশগত আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মিয়াবাড়ির দুইজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনা যেন আর বড় না হয় তার জন্য ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।