• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০২:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০২:১০ পিএম

সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি, মানুষের ভোগান্তি

সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি, মানুষের ভোগান্তি

সংস্কারের নামে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটস্থ কেন্দ্রীয় মহা-শ্মশান সড়কটির ভালো ইটগুলি তুলে নিয়ে গেছে ঠিকাদার। যে কারণে বিগত দুই মাস ধরে পুরো এলাকার লোকজন চলাচলে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি ঠিকাদার কর্তৃক রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর এই গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারে নামে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার কারণে এই সড়কটি দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে পথচারিদের। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অসমাপ্ত রেখে উধাও হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোথাও স্লেপ করেনি। আবার কোথাও রাস্তার পাশের ড্রেনের ওয়ালে বড় বড় চিত্র ভরাট করেনি। এছাড়াও ড্রেনের পশ্চিম পাশের কাজও সমাপ্ত হয়নি। ড্রেনের সব কিছু অগোচালো রেখে রাস্তা সংস্কারের নামে ইট তুলে নেয়ার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে চলাচলকারিদের। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সড়কটির কাজ হচ্ছে না। বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। 

এতে করে মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। দিন দিন উক্ত সড়ক চলাচল করতে বা শ্মশানে কোন মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ভোগের মাত্রাটা আরো বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলেও সেদিকে কোন খেয়াল নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। উল্টো শীঘ্রই সড়কটির কাজ শুরু হবে” সেই পুরনো আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে যাচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ। 

 জানা গেছে, শহরের সনাতনী সম্প্রদায়ের একমাত্র মহা-শ্মশান হচ্ছে এটি। শ্মশানে যাতায়াতের সুবিধার্থে বেশ কয়েকবছর আগে এই সড়কটি পৌরসভার পক্ষ থেকে করা হয়। এরপর সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সেই সড়ক সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণের নামে করা হয় খুঁড়াখুঁড়ি। দুই মাস আগে সড়কের পাশে ড্রেন সংস্কারের নামে উঠিয়ে নেয়া হয় ভাল ইটগুলো। এরপর সংস্কার না করেই ফেলে রাখা হয়েছে সড়ক ও ড্রেনটি। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। 

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহা-শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক দাশ বলেন, সড়কটি নিয়ে কষ্টের যেন শেষ নেই। কয়েকদিন আগে রাতের বেলায় একটি মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে আমাদের লোকজন গর্তে পড়ে আহত হয়। এরপর আমি নিজে মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করার পর তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাসের অনেক দিন হয়ে গেছে। 

কক্সবাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ ইটগুলো তার নির্দেশে তুলে নেয়া হয়েছে এ কথা স্বীকার করে বলেন, মাস খানেকের মধ্যে সড়ক এবং ড্রেনের সংস্কার কাজ শুরু হবে। 

জাগরণ/এমআর