• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০১:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০১:৪০ পিএম

করোনায় বন্ধ ২৬ কিন্ডারগার্টেন

করোনায় বন্ধ ২৬ কিন্ডারগার্টেন

গত দেড় বছর বন্ধ থাকার পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুললেও করোনাকালীন আর্থিক অনটনসহ নানা সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ২৬ টি কিন্ডারগার্টেন । এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান টিকে আছে, তাদেরও কাটছে চরম দৈন্য-দশায়। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে টিকে যাওয়া কিন্ডার গার্টেনগুলোকে। বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকেই ঝরে পড়েছে। কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েছে নানা কাজে। এই মুহূর্তে তাদের বিদ্যালয়গামী করাই মুশকিল। জেলার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে উপজেলার ১২৪টি কিন্ডারগার্টেনের কমপক্ষে একশত জন শিক্ষক পেশা পরিবর্তন করেছেন। দীর্ঘ করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেতন-ভাতা কিছুই পাননি শিক্ষকরা। ফলে পরিবারের ভরণ-পোষণ যোগাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। বাধ্য হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি হিসেবে চাকরি করতে হয়েছে অনেক শিক্ষককেই। সরকারি প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পাননি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় করোনা কালীন বন্ধের আগ পর্যন্ত ২০২০ সালের শুরুতে ১২৪টি কিন্ডারগার্টেন ছিলো। এর মধ্যে ২৬ টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।
চান্দিনা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি জেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী মো. মনির খন্দকার জানান, পৌর এলাকার মোকামবাড়ী সংলগ্ন আল ফালাহ আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুল, বাড়েরা বর্ণমালা শিশু শিক্ষা কিন্ডার গার্টেন স্কুল, মহিচাইল শিশু একাডেমি, আলিকামোড়ার মাতৃছায়া কিন্ডার গার্টেন, বরকরইয়ের রুপসী বাংলা কিন্ডার গার্টেন, পরচঙ্গা আইডিয়াল একাডেমীসহ ২৬টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষকরা দেড় বছরে সরকারি কোন প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পায়নি তারা। 

বাড়েরা বর্ণমালা শিশু শিক্ষা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক দ্বীপক জানান, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকট দেখা দেয়। ১০ জন শিক্ষক এর বেতন ও স্কুলের ভাড়া বহন করা সম্ভব হচ্ছিলো না। তাই উপায় না পেয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় আমাদের কিন্ডারগার্টেনটি। 

চান্দিনা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো.আশিকুল ইসলাম জানান, করোনা শুরুর পর থেকে স্কুল বন্ধ করে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাবস্থায় সরকারিভাবে কোন ধরনের সহযোগিতা না করায় অর্থিক সংকটে প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন বেকার থাকায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

জাগরণ/এমআর