• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম

স্ত্রীর অত্যাচার-হুমকি থেকে বাঁচতে এসপির কাছে আবেদন

স্ত্রীর অত্যাচার-হুমকি থেকে বাঁচতে এসপির কাছে আবেদন

তালাক দেয়ায় ক্ষিপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচার নির্যাতন ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির হাত থেকে বাঁচতে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন একটি অসহায় পরিবার। 

নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী মিনা আক্তার পুলিশ সুপারের বরাবরে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, তার সহজ সরল পুত্র ওয়াসিম আহমেদের সাথে বিগত ১০ বছর পূর্বে প্রতিবেশী প্রভাবশালী ফরিদ মিয়ার কন্যা স্বপ্না আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। 

স্বপ্নার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ শুরু করে। পরিবারের লোকজনের উপর স্ত্রী স্বপ্নার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং বেপরোয়া আচরণের কারণে স্বামী ওয়াসিম আহমেদ ২০১৩ সালের ২০ মে তাকে তালাক দেয়। এরপর স্বপ্নার পরিবার ওয়াসিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েক গ্রামের মুরব্বীরা গ্রাম্য সালিসের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আপোষ সীমাংসার জন্য ওয়াসিমের বাবা মজিবুর রহমান স্বপ্নার নামে ৪০ শতাংশ জমি লিখে দেন। 

এদিকে স্বপ্না অন্য একজনকে বিয়ে করে পুনরায় দাম্পত্য জীবন শুরু করে। অপরদিকে ওয়াসিমও আরেকজনকে বিয়ে করে। অর্থলোভী স্বপ্না এবার ওয়াসিমের পরিবারকে হয়রানী করার জন্য ভরন পোষনের মামলা দায়ের করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তুহিন চেয়ারম্যান এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে বারবার দুই পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এরই এক পর্যায়ে ৪০ হাজার টাকা ভরনপোষন প্রদানের মাধ্যমে মীমাংসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চেয়ারম্যান তুহিন বাদীর হাতে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেয়ার পর উভয় পক্ষের আইনজীবীদের স্বাক্ষরে আপোষ নামায় দুই পক্ষই স্বাক্ষর করে মীমাংসা হয়। এর কিছুদিন যাওয়ার পর লোভের বশবতী হয়ে বাদী আদালতে আপোষনামা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

তাদের একটাই কথা, তারা এই পরিবারটিকে শান্তিতে থাকতে দিবে না। স্বপ্না ও তার পরিবারের লোকজন অত্যন্ত উশৃঙ্খল, দাঙ্গাবাজ ও মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। কোন কিছু হলেই তারা রামদা বল্লম নিয়ে ওয়াসিমের বাড়ীঘরে হামলা চালায়। তারা উক্ত পরিবারটিকে অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, বেকায়দায় ফেলে মোটা অংকের অর্থ আদায়, অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে ওয়াসিম ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের অত্যাচারে ওয়াসিম ও তার পরিবার ৯ বছর ধরে বাড়ীঘর ছাড়া। 
অসহায় ওয়াসিমের পরিবারটি তালাক দেয়া স্ত্রী ও তার লোকজনের হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

এ ব্যাপারে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আটপাড়া থানার ওসিকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

জাগরণ/আরকে