• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০৯:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ০৪:০০ পিএম

নীরবে দাঁড়িয়ে চা-কন্যা

নীরবে দাঁড়িয়ে চা-কন্যা

সাখাওয়াত লিমন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি 
দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্যটন নগরী হচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। সুনীল আকাশ আর সবুজের সমারোহ আর অপরূপ সৌন্দর্য শোভিত চা শিল্পাঞ্চলের বিশাল গৌরব ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও চা বাগানে নির্মিত হয়েছে চা-কন্যা ভাস্কর্য। নারী ও চা শ্রমিক এ দুটি বিষয়কে প্রতীক হিসেবে তুলে আনা হয়েছে এ শিল্পকর্মে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আঁকা-বাঁকা দীর্ঘ পথের দুপাশে ছড়ানো ঘন সবুজ চায়ের বাগান। পাহাড়ের সমারোহ রয়েছে এর চারিপাশে। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এক কোণে নীরবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে চা-কন্যা। প্রতিদিন শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে দৃষ্টি ফেলে চা-কন্যার দিকে।

চা-শিল্পাঞ্চলের দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে এই ভাস্কর্যটিতে। শ্রীমঙ্গলের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত এক নারী চা শ্রমিকের চা-পাতা উত্তোলনের দৃশ্য সম্বলিত ‘চায়ের দেশে স্বাগতম’ শিরোনামের এ ভাস্কর্যটি দেশি-বিদেশি প্রকৃতি প্রেমীসহ সবার দৃষ্টি কেড়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সাতগাঁও চা বাগানের অর্থায়নে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এ দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্ম।

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র আর্ট টিচার সঞ্জিত রায় এই ভাস্কর্যটির নকশা প্রস্তুত করেন। এক নারী চা-কন্যা ও চা গাছের আদলে তৈরি করা হয়েছে এ ভাস্কর্য। এটি নির্মাণ করতে তার সময় লেগেছে ১ মাস ২০ দিন। 

এ বিষয়ে সঞ্জিত রায় জানান, এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ইট-সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ইট-সিমেন্টের ঢালাই কেটে কেটে তৈরি করা হয়েছে চা-কন্যাকে। উচ্চতা ২৪ ফিট এবং নিচের বেইজমেন্ট দৈর্ঘ্য ৮ ফিট এবং প্রস্থ ৮ ফিট।

জাগরণ/আরকে