- ঢাকা
- শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হাটের ইজারার দরপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মো: সোহাগ রনিকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে পাল্টা আরও একটি মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ মামলা দায়ের করেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক ফারুক আহমেদ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে সোহাগ রনির সমর্থক সিরাজুল ইসলাম সজল বাদি হয়ে নান্নুকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার একদিন পর শনিবার বিকেলে নান্নু সমর্থক পাল্টা মামলা করেন।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) টেন্ডার দাখিলের উদ্দেশ্যে ফারুক আহমেদ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদে যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রু তার জের ধরে সোনারগাঁ চৌরাস্তা বাজার এলাকায় তাদের গতিরোধ করে আসামিরা পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামিদের হাতে ধারালো চাকু, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার রড ছিল। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন সোহাগ রনি। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কাইকারটেক হাটের ইজারার দরপত্র জমা দিতে পারবো না বলে হুমকি প্রদান করে।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আসামিরা তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে। এ সময় আমি প্রতিবাদ করিলে কিলঘুষি লাথি মেরে জখম করে। পরে চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। হামলায় তার সাথে থাকা তার ছেলে রোবায়েত, ভাই ডা. আক্তার হোসেন ও চাচাতো ভাই রাজিব প্রধানকে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, সবাই আমার সমর্থক আমার কোন সমর্থক মামলা করলো আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি বলেন, হাটের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বাঁধা দিয়ে আমার লোকজনের উপর হামলা করে আহত করেছে। এ ঘটনায় মামলা করার পর আমার লোকজনের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করেছে। নান্নু আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। এ অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সোনারাগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, মামলা গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাগরণ/আরকে
