• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১, ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর বাগমারায় গোয়ালকান্দি ইউপি’র চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার ও তার সমর্থিত লোকজনদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক এক মাছ চাষীর পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও লীজ গ্রহিতার লিখিত কাজগপত্র কেড়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

তবে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার কথা না বললেও তার লোকজনের কথায় পুকুর দখলের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুকুর দখলের ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে পুকুরের লীজ মালিক মুঞ্জুর রহমান জানিয়েছেন।

পুকুর মালিক মুঞ্জুর রহমান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালকান্দিা ইউনিয়নের উদপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম, লুৎফর রহমান, আবুল বাসার, সাইদুর রহমান, আব্দুল জলিল ও আহম্মেদ আলী তাদের ভোগদখলী পুকুরটি হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কালুপাড়া মৌজায় যার, আর এস খতিয়ান নং ১৯৯, হাল দাগ নং ২২৩৯, জমির পরিমান, ১.০৭ একর, মাছ চাষের জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রতি বছর ৯৫ হাজার টাকায় ১০ বছরের জন্য হামিরকুৎসা ইউনিয়নের পলাসী গ্রামের মাছ চাষী মুঞ্জুর রহমানের কাছে লীজ প্রদান করেন। মুঞ্জুর রহমান পুকুরটি লীগ নেয়ার পর থেকে মাছ চাষের উপযোগী করার জন্য পানি শুকিয়ে পাড়ি বান্দার প্রস্তুতি নেয়।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর আলমগীর হোসেন সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার লোকজনকে পুকুরটি দখলে নেয়ার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যানের ইঙ্গিত পেয়ে উদপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল কাফি ও জাহাঙ্গীর আলম তার লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পুকুর সংলগ্ন আম বাগান কেটে পরিধি বাড়ানোর কাজ শুরু করেন। সরকারী ভাবে ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধ থাকলেও অদৃশ্য কারণে আম বাগান কেটে সাবাড়ের মাধ্যমে পুকুর খননের কাজ বহাল তবিয়্যতে চলতে দেখা গেছে। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমেই মাছ চাষী মুঞ্জুর রহমানের পুকুরটি জবরদখল করা হয়েছে।

পুকুর দখলের পর থেকেই মাছ চাষী মুঞ্জুর রহমান নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান। তিনি বলেন, তার লীজকৃত পুকুর বেদখলের কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি পুকুরটি উদ্ধার করে মাছ চাষের সহযোগীতা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের মুঠাফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। অপর দিকে অন্য অভিযুক্ত জাহাঙ্গীল আলম কোন কথা না বললেও আবদুল্লাহ্ আল কাফি পুকুরটি লীজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি চেয়াম্যান সাহেবের সাথে দেখা ও কথা বলে লীজের তথ্য প্রমান সংবাদ কর্মীদের দিবেন বলে জানিয়েছেন।