• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ১২:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৩, ২০২২, ১২:৩০ পিএম

মোহনগঞ্জে শৈলজার স্মরণে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র

মোহনগঞ্জে শৈলজার স্মরণে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র

সালাহ উদ্দীন খান রুবেল
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে শৈলজা রঞ্জন মজুমদার সাংস্কৃতিক চর্চ্চা কেন্দ্র। মোহনগঞ্জ পৌরসভার বাহাম এলাকায় প্রায় আড়াই একর জমিতে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত বিভাগ এ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রটির প্রায় ৯০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করা যাবে।

জানা গেছে, শৈলজা রঞ্জন মজুমদার ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই মোহনগঞ্জ থানার বাহাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২০ সালে কলকাতায় অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজ কণ্ঠে কবিতার আবৃত্তি শুনে তিনি তার ভক্ত হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে শৈলজা রঞ্জন মজুমদার বিশ্ব ভারতীর শিক্ষক হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকেই তিনি রবীন্দ্র সংগীতের দীক্ষা নেন। ১৯৩৯ সালের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে সংগীত ভাবনার প্রথম অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন। শান্তি নিকেতনের বাইরে বিশ্ব কবির প্রথম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান হয় নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী স্কুল দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে, যার উদ্যোক্তা ছিলেন শৈলজা রঞ্জন মজুমদার। ১৯৯২ সালের ২৪ মে কলকাতার সল্টলেকের বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার স্মৃতিতে মোহনগঞ্জ পৌরসভার বাহাম এলাকায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আড়াই একর জমিতে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মধ্যে আছে তিনতলা বিশিষ্ট একাডেমি ভবন, এম্ফিথিয়েটার, কনফারেন্স হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর এবং সবুজ চত্বর ও পুকুর সংবলিত একটি অত্যাধুনিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকছে আধুনিক সুবিধা সংবলিত বয়স্ক কেন্দ্র। মূল সড়ক থেকে সাংস্কৃতিক একাডেমি কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা শৈলজা রঞ্জন মজুমদারের নামে নামকরণ হয়েছে।

সংবাদকর্মী শেখ লূৎফা বলেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিগণ নির্মাণ কাজ দেখে খুবই খুশি। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ হলে এবং কার্যক্রম শুরু হলে জেলার প্রাচীন শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণা হাওরাঞ্চলের জীবন ও সংস্কৃতি পাল্টে যাবে। 

নেত্রকোনা গণর্পূত বিভাগের প্রকৌশলী হাসিনূর রহমান জানান, এটি একটি বিশ্বমানের সাংস্কৃতিক চর্চ্চা কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে এ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পুর্ণ হবে ।    

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান জানান, কেন্দ্রটি নির্মাণ হলে রবীন্দ্র সংগীত ও সংস্কৃতির চর্চার উচ্চমানের নতুন শিল্পী তৈরীর পথ সুগম হবে। তেমনি শিল্প-সাহিত্যে সংগীতাচার্য শৈলজা রঞ্জন মজুমদারের অবদান দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা যাবে।

জাগরণ/আরকে