
চট্টগ্রামে রেলওয়ের ইতিহাসে সর্ব বৃহৎ উচ্ছেদ অভিযান ৩ হাজার অবৈধ স্হাপনা উদ্ধার ৩ একর জায়গা দুই দিন টানা অভিযান পরিচালনা করে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন গোয়াল পাড়ার তুলাতলী বস্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ দখলদারকে বিতাড়িত করে সাড়ে ৩ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়।
রেলওয়ের এসব জায়গা একদিকে উদ্ধার হলেও অন্যদিকে আবার দখলে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। রেলওয়ের এ জায়গাগুলো দখলের পেছনে হাত রয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর। সকালে উচ্ছেদ হয় তো আবার বিকালে দখল করে নেন তারা। উচ্ছেদকৃত জায়গা রক্ষা করার প্রতি জোর দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, প্রায় সময় রেলওয়ের দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সেগুলো দখল হয়ে যায়। উদ্ধার করে কোনো ধরনের তদারকি থাকে না রেলওয়ের। এর পেছনে রয়েছে স্বয়ং রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টানা দুই দিনের অভিযানে উদ্ধারকৃত জায়গাগুলো তদারকি করার জন্য জোর দিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানে প্রায় ৩ হাজার সেমিপাকা ও টিনশেড অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ে।
জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবি সংলগ্ন তুলাতলি রোডের গোয়াপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জায়গা দখলে নিয়ে প্রায় হাজার হাজার অবৈধ বসতবাড়ি ও দোকানপাট গড়ে উঠে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। দুই দিনের এ অভিযানে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ দখলদারকে বিতাড়িত করে ৩ একর জায়গা ও দেড় হাজার সেমিপাকা-টিনশেড বসতি উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ২০ জন, কোতোয়ালী থানার অফিসার অপারেশনের নেতৃত্বে দুই দিন টানা অভিযান পরিচালনা করে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন গোয়াল পাড়ার তুলাতলী বস্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ স্হাপনা ৩ একর জায়গা
কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সেগুলো দখল হয়ে যায়। উদ্ধার করে কোনো ধরনের তদারকি থাকে না রেলওয়ের। এর পেছনে রয়েছে স্বয়ং রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টানা দুই দিনের অভিযানে উদ্ধারকৃত জায়গাগুলো তদারকি অভিযানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ২০ জন, কোতোয়ালী থানার অফিসার অপারেশনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪০ জন সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সহযোগিতা করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ সম্পতি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহাবুবুল করিম, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা শাকের আহমেদ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট শফিকুর রহমান, সহকারী ভূ সম্পতি কর্মকর্তা মো. শহিদুজ্জামানসহ আরও অনেকে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ সম্পতি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহাবুবুল করিম বলেন, দুই দিনের অভিযানে প্রায় তিন হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ৩ একর জায়গা। এখন বাকি রয়েছে গোয়াল পাড়া আর মালি পাড়া। সেখানেও আমাদের অভিযান চলবে। ওই দুই এলাকায় অভিযানের বিষয়ে এখনো কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি তবে যে কোন সময় অভিযান চালানো হবে
রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি জায়গা এভাবে পাহারা দিয়ে রাখা কঠিন তবে আমরা সর্বচ্চো চেষ্টা করবো কেউ যেন পুনরায় দখল করতে না পারে। যদি আবারও দখল করতে চেষ্টা করে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট শফিক ইসলাম মৃধা বলেন, যে জায়গাটুকু উচ্ছেদ করা হয়েছে সেটুকু যাতে পুনরায় কেউ দেখলে নিতে না পারে সে বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। যদি কেউ দখলও করে তাহলে রেলওয়ে প্রকৌশল দফতর ও ভূ সম্পতি বিভাগের সহায়তায় আমরা উচ্ছেদে যাবো।
তিনি বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গাগুলো যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়া দেওয়া হয় তাহলে আমরা এটি রক্ষায় কঠোর হতে পারবো। এছাড়াও উচ্ছেদ করার পর আবারও রাতের অন্ধকারে জায়গাগুলো দখলের একটি প্রবণতা থাকে। সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গুটিকয়েক কর্মচারী জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে। এ রকম যদি কোনো তথ্য আমরা পাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাগরণ/আরকে