• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২২, ০৩:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২২, ০৩:৫১ পিএম

নওগাঁয় কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে জমির ফসল

নওগাঁয় কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে জমির ফসল

নওগাঁর রাণীনগরের পারইল ইউনিয়নের সংকরপুর পূর্ব মাঠে পূর্বশত্রুতার জেরে কীটনাশকের বিষ ছিটিয়ে এক একর জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জমির ধান হারিয়ে কৃষক আনিছুর রহমান দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা জানা যায়। এমন ঘৃণিত ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা। 

কামতা শংকরপুর গ্রামের মৃত-রওশন আলীর ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, শনিবার সকালে খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে দেখতে পান যে তার তিন বিঘা ধানের জমিতে বিষ দিয়ে ধান পুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে রাতের বেলায় একই গ্রামের মৃত- আইন উদ্দিনের ছেলে তোজাম, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান, ইব্রাহিম ও ওই গ্রামের জামাই আব্দুল হাইকে জমিতে বিষ দিয়ে চলে যেতে দেখেছে। তাদের সঙ্গে পূর্ব থেকেই কোন্দল চলে আসছিল। এই তিন বিঘা জমিতে ৮০-৯০মণ ধান উৎপাদিত হতো যার বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। তিনি অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে এই ধান চাষ করেছিলেন। এখন তিনি জমির ধান হারিয়ে পথে বসতে চলেছেন। যারা শত্রুতার জেরে দেশের এই জাতীয় সম্পদ নষ্ট করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তি এবং তার ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

অভিযুক্ত একই গ্রামের মৃত-আইন উদ্দিনের ছেলে তোজাম বলেন, এটি সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট একটি ঘটনা। তারা আমাদেরকে বিপদে ফেলতেই এমন কৌশল অবলম্বন করেছে। আমরা কেউই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনিছুরসহ তার লোকজনারা আমার সন্তান ও ভাইকে মারপিট করেছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, এমন কাজ সত্যিই জঘন্য। ধান আমাদের জাতীয় সম্পদ। কারো সঙ্গে শত্রুতা থাকলেই যে এই সম্পদ নষ্ট করে দিতে হবে, এমন ধারা থেকে আমাদের সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। আমি ঘটনাস্থলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে এবং ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষককে পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন আকন্দ বলেন, আমি এখনোও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জাগরণ/আরকে