• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৩:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৩:২৩ পিএম

অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার বিএসটিআইয়ের লোগো

অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার বিএসটিআইয়ের লোগো

রোজার ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও ট্রেডমার্ক ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইনস্টিউশনের (বিএসটিআই) লোগো ব্যবহার করে মানহীন লাচ্ছা সেমাই বাজারজাত করছে ‘ছক্কা ফুড প্রডাক্টাস’ নামে একটি সেমাই কারখানা। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ গ্রামে অবস্থিত ছক্কা ফুড প্রডাক্টাস করখানায় গিয়ে দেখা গেছে, সেমাই কারখানাটিতে কাজ করছেন ১০-১২ জন শ্রমিক। অস্বাস্থ্যতর পরিবেশে তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। সেমাই তৈরিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক, হাতের গ্লপ্স ব্যবহার না করেই গরমের মধ্যে কাজ করছেন তারা। এতে অনায়াশেই শরীরের ঘাম মিশে যাচ্ছে এসব সেমাইয়ের সাথে। প্রতিটি সেমাইয়ের প্যাকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে বিএসটিআইয়ের লোগো ও ট্রেডমার্ক। 

অনুমোদনের কাগজ দেখতে চাইলে বলেন, কারখানা মালিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অনুমোদনের কাগজের পরিবর্তে দেখানো হয় আবেদনের কাগজপত্র। কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে সেমাই বাজারজাত করছেন। কিন্তু বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহারের বিষয়টি থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন লোগো দেখে কেনা সাধারণ ক্রেতারা। 

ছক্কা ফুড প্রডাক্টাস’ কোম্পানির এক সেমাই ক্রেতা সাব্বির বলেন, আমি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন দেখেই বাজার থেকে ৮৫ টাকায় এই সেমাই এক প্যাকেট কিনেছি। যদি অনুমোদন না থাকে তাহলে লোগো ব্যবহার করে আমাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এমন প্রতারনাকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। 

স্থানীয় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘ছক্কা ফুড প্রডাক্টাস’ কোম্পানীর বিএসটিআইয়ের অনুমোদন দেখেই এই সেমাই ক্রয় ও বিক্রয় করছেন। যদি এই কোম্পানী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে তাহলে কোম্পানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। 

প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেয়ার জন্য আবেদন করেছি। বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ লোগো ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেয়ায় প্যাকেটে লোগো ব্যবহার করছি। এখনো লাইসেন্স পাইনি। 

উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সামছুন নাহার মুঠোফোনে বলেন, গত দুই দিন পূর্বে আমি কারখানাটি পরিদর্শন করেছি। আমার পরামর্শেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য তারা কর্তৃপক্ষকে সেমাইয়ের নমুনা দিয়েছে। ফলে তারা লোগো ও নাম ব্যবহার করছে। 

জয়পুরহাট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়া কেউ বিএসটিআইয়ের সিল বা লোগো ব্যবহার করতে পারবে না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে তদন্ত করে অনিয়ম পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাগরণ/আরকে