• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২২, ১০:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২২, ১০:৫১ এএম

বৈশাখকে বরণ করতে চিত্রশিল্পীদের ব্যস্তসময় পার

বৈশাখকে বরণ করতে চিত্রশিল্পীদের ব্যস্তসময় পার

শরীফ ইকবাল রাসেল
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়-‘ওই নতুনের কেতন ওড়ে/কালবৈশাখির ঝড়/তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’ নতুনের কেতন ওড়ে এ বৈশাখেই। হ্যাঁ পুরাতন বছরের জরা, ক্লান্তি, গ্লানিকে পেছনে ফেলে চির নতুনের ডাক নিয়ে আসছে পহেলা বৈশাখ। 

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিদায় হচ্ছে ১৪২৮ বছরের আর বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ শুরু হচ্ছে।

এই নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে নরসিংদীতে বরণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে চিত্রশিল্পীদের হাতের ছোয়ায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে রঙিন করতে সাজছে নতুন রূপে। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নানা রঙের আলোকসজ্জার পাশাপাশি নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

সারাদেশের ন্যায় নরসিংদী জেলা প্রশাসন ও নরসিংদী সরকারি কলেজ মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনের সূচনা করা হবে। অশুভকে দূর করা, সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে মনে করা হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে। 

এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরণের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।

এবারের বর্ষবরণে নরসিংদী জেলা প্রশাসন ও নরসিংদী সরকারি কলেজ ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। নরসিংদী জেলা প্রশাসন মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। 

এছাড়া নরসিংদী সরকারি কলেজের পক্ষ থেকেও শোভাযাত্রা শেষে কৃষ্ণচুড়া চত্বরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান, নাচ, কবিতাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা থাকবে কলেজের বিভিন্ন বিভাগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।

নরসিংদী শহরের অবস্থিত প্রাণতোষ আর্ট স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত বাঁশবেতের কারিগর এবং তুলি হাতে রঙের কাজে ব্যস্ত প্রাণতোষ দত্ত এবং তার স্ত্রী তিথি দত্তসহ আরো কয়েকজন শিল্পী। এসময় কথা হয় প্রাণতোষ দত্তের সাথে। তিনি জানান, বিগত বছর করোনা থাকায় বৈশাখের কাজগুলো তেমন করা হয়নি। এবার পুতুল, মাছ, পাখি ও পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরী হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে বেশী শ্রমিক নিয়ে দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে। আশা করা যায় আকর্ষনীয় হবে এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। 

এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিজস্ব সংগঠন বাধনহারার সদস্যরা বর্ষবরণের প্রস্তুতি হিসেবে একটি হাতি, একটি ময়ূর ও হরিনসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারাও চায় বর্ষবরণকে আকর্ষনীয় করতে। তাই তারা দিন রাত সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচী চলবে সারাদিন।

জাগরণ/আরকে