• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০৪:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২২, ০৪:৪৯ পিএম

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় জলঢাকাবাসী 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় জলঢাকাবাসী 

নীলফামারীর জলঢাকায় পাঁচ বছর আগে বন্যায় হেলে পড়া সেতুটি সংস্কার না করার ফলে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের ১ নং ডাউয়াবাড়ি চরভরট ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইউনিয়ন অফিস, বাজার ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। আর চলাচল অনুপযোগী সেতুটি রয়েছে এই সড়কে। ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির একদিকে হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে  চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার হয়নি।
 
স্থানীয়বাসিন্দা জিয়া জানান, আমাদের নেকবক্ত ও উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এই সড়কের ওপর সেতুটি ত্রাণের টাকায় নির্মিত হয় ২০১৭ সালে। সে সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং সড়ক ও সেতু  চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসী সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই বালুও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান বাঁশের সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল জানান, সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। সেই সময় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫ বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  জানান, গত  ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। 

জাগরণ/আরকে