• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম

লামায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেলো ক্ষতিপূরণ

লামায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেলো ক্ষতিপূরণ

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করে বন্যহাতির দল। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। 

এ ধারাবাহিকতায় যাচাই বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবারের সদস্যদের হাতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পৃথক ক্ষতিপূরণের ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলাল। 

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জান-মাল নিরুপণ কমিটির আহবায়ক মোস্তফা জাবেদ কায়সার, সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মো. গিয়াস উদ্দিন, কমিটির সদস্য সচিব সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন- আবদুল খালেক, ওসমান গণি, হ্লামাচিং মার্মা, আহমদ হোসেন, নুরুল আমিন, মুফিজ মিয়া, আবুল নছর, ফাতেমা বেগম, হারুনুর রশিদ, ওয়াজ উদ্দীন, নুরুল ইসলাম, হ্লাচিং ওয়ান মার্মানী, মালেকা বেগম, হাজেরা বেগম, বেলাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, মংসাথোয়াই মার্মা, নুরুল আবছার, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, ছৈয়দ হোসেন, গিয়াস উদ্দিন ও মঞ্জুর আলম। 

বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদানের সময় লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলাল বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। তাই দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীদেরকে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

জাগরণ/আরকে