• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ১১:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২২, ১১:০২ এএম

সৈয়দপুরে বজ্রপাতে ৯ বাড়ি পুড়ে ছাই

সৈয়দপুরে বজ্রপাতে ৯ বাড়ি পুড়ে ছাই

সৈয়দপুর প্রতিনিধি
বজ্রপাতের ফলে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ পরিবারের ১৮ ঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে আহত হয়েছেন গীতা নামের এক বৃদ্ধা।  নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় নগদ ৫ লাখ টাকাসহ অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এলাকাবাসীরা জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঝড় ও বজ্রের সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাতের একপর্যায়ে ওই গ্রামের অতুল চন্দ্র সরকার ও প্রদীপ চন্দ্র সরকারের বাড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে পাশের বিপুল চন্দ্র সরকার, বিনয় চন্দ্র সরকার, বাবুল চন্দ্র সরকার, কমল চন্দ্র সরকার, রাজেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ অন্যদের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই ছয়টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং তিনটির বেশির ভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন যে, বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, ধান, চাল ও আসবাবপত্র সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি অটোভ্যান, ও ৪টি বাইসাইকেল, ছাগল, স্বর্ণালংকার, বই, জমির দলিলও ভস্মিভুত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে তার আগেই ছয়টি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ও তিনটি বেশির ভাগ অংশ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। 

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রভাষক আব্দুল হাফিজ হাপ্পু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বাবু রঞ্জন কুমার সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপন্য এবং শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত)  সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ২ শাড়ি, ২ লুঙ্গিসহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া তিনি এসব পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার টাকা, টিউবল স্থাপন, ডেউটিন, এনজিওর মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী, শিশু বাচ্ছাদের কাপড় ব্যবস্হা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। 

তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের মাধ্যমে আরও সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

জাগরণ/আরকে