• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২, ০৭:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২২, ০৭:৩২ পিএম

ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধান ও চালের অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান শুরুর পর মিল মালিকরা ধান কেনা কমিয়ে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষক। গত এক সপ্তাহ আগে যে ধান ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে, সেই একই ধান আজ মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়। এতে প্রতিমণ ধানের দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধান-চাল মজুত বিরুদ্ধে অভিযানে জরিমানার ভয়ে ধান কেনা কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে হাটবাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় পাইকারি চালের বাজারেও কেজিতে ২/৩ টাকা কমেছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারে এখনও তেমন পড়েনি। বাজার আগে যা ছিল এখনও তাই রয়েছে। শুধুমাত্র নতুন ধানের চালের দাম কিছুটা কম। নতুন চাল চিকন ৫০ টাকা, মাঝারী ৪৫ এবং মোটা ৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। লাইসেন্স বিহীন অনেক মুজতদাররা বাজারে ধান কিনে বাসাবাড়ীসহ ঘর গুদাম ঘরে ধান মজুত করে রাখলেও অভিযানের ভয়ে তারাও ধান কেনা বন্ধ রেখেছেন। তবে মিনিকেট ও জিরাশাইল জাতের চিকন ধানের দাম মণে কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। 

গতকাল মঙ্গলবার ফুলবাড়ী পৌরশহরের আড়তদার ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মণ কাটারীভোগ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১২৫০ অথচ গত এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৩০০-১৩৫০ টাকায় এবং জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ১২৫০-১৩০০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা। 

ফুলবাড়ী পৌরশহরের ধান হাটিতে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। হাটে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০০ টাকা মণ দরে। সরকারের মজুত বিরোধী অভিযানের কারণে মিলাররা, আড়ৎদার ও মুজতদাররা ধান কেনা কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে ধানের দাম কমে গেছে। 

উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ও কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতার কারণে ভরা মৌসুমের ধান-চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। সরকারের মজুত বিরোধী অভিযান শুরু করায় যাতে ধান আছে তারা কেউই ধান কিনছেন না। বাজারে পর্যাপ্ত ধানের আমদানি থাকলেও দাম কম। এদিকে ধানের দাম কম হওয়ায় পাইকারি বাজারে চালের দামও কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। 

এদিকে ফুলবাড়ী পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয় প্রকাশ গুপ্ত বলেন, মজুত বিরোধী অভিযানে এখন পর্যন্ত খুচরা চাল বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। যে মোকাম কিংবা অটোরাইস মিল থেকে পাইকারী চাল কেনা হয়, সেখানেই বেশি দাম দিয়ে বস্তা কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তারাও বেশি দামে বিক্রি করছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াউ উদ্দিন বলেন, একাধিক মিলে মজুত বিরোধী অভিযান চালিয়ে মজুতদারীর সত্যতা পাওয়া যায়নি। কেউ যেন অবৈধ মজুত করে খাদ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে।