• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম

‘মেয়েদের কাপড় উল্টাইয়া পিটিয়ে চামড়া উঠায়ে ফেলব’

‘মেয়েদের কাপড় উল্টাইয়া পিটিয়ে চামড়া উঠায়ে ফেলব’
প্রতিকী ছবি

নোয়াখালীতে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণের পর বিদ্যালয়ে বোরকা নিষিদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নবম-দশম শ্রেণির ৯ ছাত্রী।

ঘটনাটি সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এম.এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযুক্তরা হলেন- একই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাফেজ আহমদ ও মাইন উদ্দিন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার সময় হলে ঢুকে মেয়েদের চরিত্র সম্পর্কে কটূক্তি করেন হাফেজ আহম্মদ ও মাইন উদ্দিন। এ সময় তারা বোরকা পরে আসা মেয়েদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ভুক্তভোগী নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বলেন, ঘটনার দিন আমাদের পরীক্ষার হলে ঢুকে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি কথা বলেন হাফেজ ও মাইন। এ সময় তারা বলেন- মেয়েরা পার্কে যায়। বোরকা পরে স্কুলে এসে খারাপ কাজ করে। কখনো বোরকা পরে আসতে কিংবা পার্কে দেখলে ‘মেয়েদের কাপড় উল্টাইয়া বেত্রাঘাত করিয়া পাচার চামড়া উঠায়ে ফেলব’।

সব ছাত্রী পার্কে যায় না বললে কয়েকজনের সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর তারা স্কুলে বোরকা নিষিদ্ধ করেন। পরে বিষয়টি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে মুঠোফোনে জানান এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিরাজ উদ্দিন শাহীন। কিন্তু কোনো সমাধান মেলেনি। উল্টো প্রায়ই ক্লাসে ঢুকে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন সেই দুই সদস্য।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাফেজ আহম্মদ ও মাইন উদ্দিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।

এম.এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা আক্তার বলেন, এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগপত্রটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।