• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ১২:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ১২:০৯ এএম

বোরো আবাদে দুর্ভোগ

বোরো আবাদে দুর্ভোগ
ছবি ● সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কাউয়াদিঘি হাওরাঞ্চলে পানি সংকটে বোরো চাষীরা। সময়মতো পানি সরবরাহ নিশ্চিত না হলে বোরো আবাদে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় হাওরাঞ্চলের হাজারো কৃষক। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

কাউয়াদিঘি হাওরাঞ্চলে বোরো চাষাবাদে একমাত্র ভরসা মনুনদী সেচ প্রকল্প। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসেও প্রকল্পের খালগুলিতে পানি নেই । ফলে পানির অভাবে জমিতে হাল চাষ দিতে পারছেননা চাষীরা।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে ডিসেম্বরের শুরুতে পানি সরবরাহের দাবি জানিয়ে এলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতি বছর জানুয়ারিতে খাল দিয়ে কিছু পানি সরবরাহ করলেও পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না অভিযোগ স্থানীয়দের।

রাজনগর উপজেলার অনন্ত ১৫টি গ্রামে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা সেচের পানির জন্য হাহাকার করছেন। পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির। মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জামুরা, মেদিনীমহল, সুনাটিকি গ্রাম, পাঁচগাও ইউনিয়নের ধুলিজোড়া, কেওলা, মোখাউতা, নোয়াগাঁও ও ফতেপুর ইউনিয়নের চালবন, চিড়াখাউড়ি, সাবাজপুর, বরইউড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় বোরোর মাঠে এখনও গবাদি পশু বিচরণ করছে।

ধুলিজুরা গ্রামের কৃষক অনন্ত দাশ বলেন, ‘মনু প্রকল্পের পানি যদি সময়মতো না আয়, তাইলে একটা গুছা কেউ জমিনো লাগাইতো পাড়তো নায়। কিছুকিছু জমিনো পুকুর থাকি সেচ দিয়া চাষ দিরাম এখন পুকুরর পানিও শেষ।’

মৌলভীবাজারের কাউয়াদিঘি হাওরকে ঘিরে ১৯৮২ সালে মনুনদী সেচ প্রকল্পের আওতায় ১০৫ কি.মি. খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বোরো মৌসুমে এসব খাল দিয়ে পানি সরবারহের মধ্যেমে ৬ হাজার হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আসে। বর্তমানে খালগুলি ভরাট ও বিভিন্ন স্থানে খালের পার ভেঙে পড়েছে। পানি বণ্টনের চেক গেটগুলিরও কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে খালগুলি দিয়ে পরিমাণ মতো পানি বণ্টন সম্ভব হচ্ছে না।

পাঁচগাও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আহমদ ও মুন্সিবাজার ইউপি সদস্য শামীম তরফদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মনু সেচ প্রকল্পের খালগুলি সংস্কার হয়নি। ভাটি অঞ্চলে খাল দিয়ে সেচের পানি পৌঁছায়না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী এম এ হান্নান খান জানান, মনু সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সদর উপজেলায় এখনও আমন ধান কাটা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে আলাপ করে কিছু দিনের মধ্যে মনু ব্যারেজের গেট বন্ধ করা হবে। এরপর আরও এক সপ্তাহ লাগবে খাল দিয়ে সেচের পানি সরবরাহ করতে। হাওরাঞ্চলে পানি পৌঁছাতে সপ্তাহ দুই লাগতে পারে জানিয়েছেন তিনি।

জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে/কেএপি