• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০১:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০১:০৬ পিএম

আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন 

আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন 

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কয়েকজন শিক্ষকসহ সহস্রাধিক মানুষ ফাহাদের জানাজায়  অংশ নেন।

এদিকে, শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে তা নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। শত শত মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানায়।

এর আগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ স্বজনরা ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আবরার ফাহাদের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। আবরার ফাহাদকে একনজর দেখার জন্য সেখানে আগে থেকে ভিড় জমান শত শত মানুষ। 

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আল-ইকরা জামে মসজিদের সামনে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শত শত মানুষ এই জানাজায় অংশ নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সকাল ৯টার দিকে আবরারের মরদেহ তার নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় রায়ডাঙ্গা গোরস্থানে আবরার ফাহাদকে সমাহিত করা হয়।

গত রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফাহাদের সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। 

ফাহাদের ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরাও জানান, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মারপিটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। ছিলেন শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র। 

এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

কেএসটি


 

আরও পড়ুন