• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২, ২০২০, ০৫:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০২০, ০৫:৪৯ পিএম

পঙ্গপাল নয়, এগুলো ঘাসফড়িং

পঙ্গপাল নয়, এগুলো ঘাসফড়িং
সংগৃহীত ছবি

দুই সপ্তাহ আগে টেকনাফে দেখা দেয়া পঙ্গপাল সদৃশ পতঙ্গকে ঘাসফড়িং বলে চিহ্নিত করেছে কীটতত্ত্ববিদ, কৃষিবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

শনিবার (২ মে) এ পতঙ্গটির বিশদ পর্যালোচনা করে কমিটি এটাকে ‘স্পটেড গ্রাসহপার’ বলে চিহ্নিত করেছে।

তারা বলছে পতঙ্গটি পঙ্গপালের মত ক্ষতিকর নয়। এটি যেখানে প্রথম পাওয়া গেছে সেখান থেকে অন্য জায়গায় ছড়ানোর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লম্বুরি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পোলট্রি ফার্মে বুনো গাছপালায় এ পতঙ্গগুলোর প্রথম দেখা মেলে। গাছের পাতা খেয়ে ফেলতে দেখে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ শাখার উপপরিচালক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ি প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সমন্বয়ে ১০ সদস্যের একটি দলকে শুক্রবার টেকনাফে যান।

বিশেষজ্ঞ দলের সমন্বয়ক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাসির জানান, এ পতঙ্গটি একটি ঘাসফড়িং প্রজাতির, নাম ‘স্পটেড গ্রাসহপার’। বৈজ্ঞানিক নাম অলার্চিস মিলিয়ারিস।

এগুলোকে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে দেখা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশদ পর্যালোচনা করে দেখলাম এটি অপ্রধান ক্ষতিকর পোকা। মানে এটি পঙ্গপালের মতো শষ্য বিনষ্টকারী পোকা নয়।

‘এ পোকা শুধু পাতার মাংসল অংশটুকু খায়, শিরাটা বাদ দেয়। এগুলো পঙ্গপালের মতো ছড়ায় না। পোকাগুলো কিভাবে এই অঞ্চলে এল সে ব্যাপারে আরও বিশদ গবেষণা চলবে।

এই ঘাসফড়িং দেশের অন্য কোথাও দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এসএমএম

আরও পড়ুন