• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০৭:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০১৯, ০৭:৪৪ পিএম

‘রাষ্ট্রায়ত্ত ৭ ব্যাংকে এক বছরে ১২শ কোটি টাকা সুদ মওকুফ’

‘রাষ্ট্রায়ত্ত ৭ ব্যাংকে এক বছরে ১২শ কোটি টাকা সুদ মওকুফ’
আ হ ম মুস্তফা কামাল - ফাইল ছবি

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ৭টি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এক বছরে (২০১৮ সালে) প্রায় ১ হাজার ২শ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে। শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ৬ হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২ হাজার ৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কোনো সুদ মওকুফ করেনি। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ, জনতা ব্যাংক ২ হাজার ৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানান, বর্তমানে দেশে করদাতার সংখ্যা ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৪২৯ জন।

একই দলের সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। মে পর্যন্ত আদায়ের পরিমাণ ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা (৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।

সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য ৭৩টি প্রকল্প পাইপলাইনে আছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে পর্যন্ত দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর থেকে ৫২১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার ছাড় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ঋণ ৪৯৭ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ও অনুদান ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

সংরক্ষিত আসনের হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে (ডিসেম্বর ২০১৮) বাংলাদেশের কাছে বৈদেশিক ঋণের দায় ৫ হাজার ৫১৫ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ ঋণের বিপরীতে ২০১৮ সালে ৯৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার সুদ পরিশোধ করা হয়েছে।

এইচএস/ এফসি