• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:১৯ এএম

বিস্তৃত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবা

বিস্তৃত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবা

দেশে সরাসরি বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি ও আর্থিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ করতে অফশোর ব্যাংকিং সেবা আরো বিস্তৃতভাবে চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বুধবার ‘অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪’-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, এটা সর্বাধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে সরকার অফশোর ব্যাংকিং নামে নতুন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অফশোর ব্যাংকিং আইন করা হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি জানান, যারা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অফসোর ব্যাংকিং এর অনুমোদন নিয়েছেন, তাদের নতুন করে আর লাইসেন্স নিতে হবে না।

অফশোর ব্যাংকিং হলো এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে বৈদেশিক উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় তহবিল গঠন করা হয় এবং প্রচলিত ব্যাংকিং আইনকানুনের বাইরে ভিন্ন আইনকানুনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

অফশোর ব্যাংকিংকে ব্যাংকের অনেক সময় ব্যাংকের ভেতরেই ভিন্ন এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

১৯৮৫ সালে সীমিত পরিসরে দেশে অফশোর ব্যাংকিং শুরু হয়। মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েনসহ পাঁচ ধরনের বিদেশি মুদ্রায় অফশোর ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করা যায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ব্যাংকিং পদ্ধতির বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা হবে, তাতে সরকার কোনো শুল্ক আরোপ করবে না।

জাগরণ/অর্থনীতি/কেএপি