• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ১০:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ১০:১৭ এএম

ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা 

ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা 

কোরবানি সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ততা বেড়েছে মানিকগঞ্জের খামারিদের। কোরবানির হাটে ভালো দাম পেতে তারা প্রস্তুত করছেন বিভিন্ন জাতের গরু। আর নিরাপদ মাংস উৎপাদনের কাজে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মানিকগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট গরুর খামার রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। এসব খামারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি খামারে বর্তমানে গড়ে অন্তত তিন-চারজন নিয়মিত কাজ করছেন।

কথা হলে বেশকিছু খামারি জানান, নিরাপদ মাংস উৎপাদনের জন্য তারা গরুকে কাঁচা ঘাস, কুঁড়া, খড়, খইল, ভুসি ও ভুট্টা ভাঙা খাওয়াচ্ছেন। এতে তাদের খরচ একটু বেশি হলেও ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন। তবে তাদের আশঙ্কা, কোরবানির সময় ভারতীয় গরু আমদানি হলে তারা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর গ্রামের আসলাম হোসেন চার মাস আগে গরু পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে গরু রয়েছে ২১টি। কোরবানি উপলক্ষে গরুগুলো মোটাতাজা করেছেন। 

উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের দিয়ারা ভবানীপুর গ্রামে সুরত খান মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন ও মোশারফ হোসেন মিলে গড়ে তুলেছেন বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য তারা দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৪৮টি গরু মোটাতাজা করছেন।

এদিকে, জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা গরু পালন ও মোটাতাজাকরণে খামারিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছেন। পাশাপাশি গরুর রোগবালাই প্রতিরোধে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

এ বিষয়ে কথা হলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফরহাদুল আলম বলেন, গরু মোটাতাজাকরণে খামারিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এবার কোরবানির হাটে গরুর সংকট হবে না। পাশাপাশি খামারিরা ভালো দাম পাবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

টিএফ