• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০১৯, ০৪:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৮, ২০১৯, ০৪:৫৫ পিএম

ঈদকে ঘিরে লাগামহীন এলাচের বাজার 

ঈদকে ঘিরে লাগামহীন এলাচের বাজার 

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। এলাচির দাম কেজিতে বেড়েছে হাজার টাকা। কদিন আগে বিক্রি হওয়া ২ হাজার টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। ঊর্ধ্বমুখীতে রয়েছে জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচের দামও। 

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পাইকারিতে দাম বাড়ানোর প্রভাব খুচরায় পড়েছে, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকাররা বলছেন, মসলা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদে বেশি চাহিদার তিনটি মসলা এলাচি, দারুচিনি ও জিরা। যার সবগুলোর দামই বেড়েছে। মাস খানেক আগে যে এলাচি প্রতিকেজি বিক্রি হতো ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা, আজকে একই এলাচি বিক্রি হচ্ছে ২,৬০০ থেকে তিন হাজার টাকা। এ ছাড়া দারুচিনি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা।

মানভেদে জিরা কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। কিসমিস ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বর্তমানে কালো গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আর সাদা গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা। মানভেদে প্রতিকেজি জয়ফল ১,০০০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকায়, যয়ত্রী ২,০০০, লবঙ্গ ৮৫০, কাঠবাদাম ৮৫০, তেজপাতা ১৫০ টাকা থেকে ১৮০, পেস্তাবাদাম ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে ধরে মসলার দাম বাড়ছে। ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর কেনা বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি রাখতে হচ্ছে। এদিকে পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি জিরা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৩০০ থেকে ৩৫০, এলাচি ১,৪০০ থেকে ১,৭০০, তেজপাতা ১৫০ থেকে ১৮০, সাদা গোলমরিচ ১,০০০, কালো গোলমরিচ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগান কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম বেড়েছে। মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হচ্ছে। গত মাসে এলাচি বিক্রি করেছি ২,২০০ টাকা। এখন পাইকারি দাম ২,৩০০ থেকে ২,৪০০ টাকার ওপরে। আমরা বিক্রি করব কত টাকা? দোকান ভাড়া মাল আনা কত খরচ রয়েছে।

পুরান ঢাকার পাইকারি মসলা বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, মাসখানেক আগে কিছুটা দাম বেড়েছিল। তবে গত এক দুই সপ্তাহে মসলার দাম বাড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এবার মসলার সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। দাম বাড়ার কোনো কারণই নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেরর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক জাগরণকে বলেন, কুরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগে মসলা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি মসলার বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অযৌক্তিক দাম না বাড়াতে সতর্ক করা হয়েছে। 

এআই/বিএস 
 

আরও পড়ুন