
সদ্য সমাপ্ত মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ৪৫৪ কোটি। দেশের ইতিহাসে একমাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
গত বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে গত মে মাসে ৬৭ কোটি ডলার বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, গত মাসে পবিত্র রমজানের ঈদ ছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে একক মাসে এতো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনও প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা সহায়তা ৩ টাকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।