• ঢাকা
  • বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৩:২৮ এএম

অন্য পণ্য না কিনলে তেল দিচ্ছে না দোকানিরা

অন্য পণ্য না কিনলে তেল দিচ্ছে না দোকানিরা

সাকলাইন যোবাইয়ের, কুমিল্লা

রাজধানীর মতো বিভিন্ন জেলা শহরেও সয়াবিন তেল কিনতে গেলে সঙ্গে কোম্পানির অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক দোকানি বলছেন, তারা অন্য পণ্য না কিনলে কোম্পানির পরিবেশকরা সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না। আবার সর্বোচ্চ যে খুচরা দামে বিক্রি করতে হয়, সেই দামেই তেল নিতে হচ্ছে পরিবেশকদের কাছ থেকে। পরিবেশকরা বলছেন, তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এগুলো কোম্পানি বাধ্য করছে। তাদেরকেও তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে হচ্ছে। ফলে তারাও মুদি দোকানিদেরকে একই চাপ দিচ্ছেন।

‘ডিলারদের হাতে আমরা জিম্মি’

ডিলাররা বলছেন, কোম্পানি তেল দিচ্ছে না। মুদি দোকানিরা বলছে, তেল দিচ্ছে না ডিলাররা। আর যদিও তারা তেল দিতে রাজিও হয়, সঙ্গে আটাসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। তেল নিয়ে এমনই এক জিম্মিদশা শুরু হয়েছে কুমিল্লায়।

মুদি দোকানিদের এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন কুমিল্লায় তীর সয়াবিনের ডিলার বিন্দু সাহা। তিনি বলেন, কোম্পানিকে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল আনতে পারছি না। আমরা কী করব? আমরা যদি তেলের কথা জিজ্ঞেস করি, তাহলে আমাদেরকে বলে অন্যান্য মুদি মালও সমানতালে বিক্রি করতে হবে। না হয় তেল পাওয়া যাবে না।

মুদি দোকানিদের অভিযোগ, পাইকারি দামে কিনে সেই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে সয়াবিন তেল। দুই/চার টাকা বেশি দামে বিক্রি করলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা হচ্ছে। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই।

মুদি দোকানিরা যেমন ডিলারদের কাছে জিম্মি হওয়ার কথা বলছেন, ডিলাররা তেমনি অভিযোগ করছেন কোম্পানির বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, কোম্পানি চাহিদা অনুয়াযী তেল সরবরাহ করছে না। নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুদি দোকানে পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল নেই। গড়ে ৫/১০ লিটার তেল সাজিয়ে রেখেছেন দোকানের শো কেসে। প্রতি লিটার বিক্রি করছেন ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা দরে।

মুদি দোকান কেশব স্টোর্স এর স্বত্ত্বাধিকারী কেশব চন্দ্র সাহা বলেন, ডিলাররা এখন তেল দিতে চাচ্ছেন না। অনেকটা জোরাজুরি করেই তাদের থেকে তেল আনতে হয়। কারণ, আমাদের বেশ কিছু পরিচিত ক্রেতা আছে। তাদের জন্য পাইকারি দামে তেল কিনে পাইকারি দামেই বিক্রি করতে হয়। মাঝখান দিয়া গাড়ি ভাড়াটা আমাদের গাট থেকে দিতে হয়।

আরেক দোকানি নাজমুল হাসান বলেন, কোম্পানি থেকে দোকানে এসে তেল দিয়ে যায়। আজ ১৫/২০ দিন কেউ আসে না। ডিলারদের কাছে গেলেও তেল নেই বলে না করে দেয়। আমরা আছি বিপদে। আমাদের কাস্টমার ছুটে যাচ্ছে তেলের কারণে। আবদুর সবুর নামে আরেক দোকানি বলেন, তেল নাই। কেন নাই এই কথার কোনো জবাব দিতাম পারি না। ডিলাররা তেল দেয় না। কী যে অবস্থা অইছে!

তীর সয়াবিনের ডিলার নগরীর চকবাজারে, রাজগঞ্জে ফ্রেশের, রেলস্টেশন এলাকায় রুপচাঁদা ও চকবাজার বালুধুম এলাকায় রয়েছেন বসুন্ধরা সয়াবিনের ডিলার।

চকবাজার রাজমনি মার্কেটে বসুন্ধরার ডিলার মেসার্স বিছমিল্লাহ ট্রের্ডাস এর স্বত্বাধিকারী সুলতান খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করেন তার ছোট ভাই ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আসলে কোম্পানি আমাদেরকে তেল দিচ্ছে না। যার কারণে আমরা মুদি দোকানিদের দিতে পারছি না।