• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০১:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০১:১৬ এএম

পাম অয়েল ও চিনির দাম কমানোর সুপারিশ

পাম অয়েল ও চিনির দাম কমানোর সুপারিশ

পাম অয়েলের দাম লিটারে ১২ টাকা কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছে। তবে সয়াবিন তেলের বর্তমান দাম বহাল রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন। 

খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের চিনির দামই কেজিতে কমপক্ষে ৬ টাকা কমানোর জন্য মতামত দিয়েছে।

টিসিবির সর্বশেষ বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার ভালো মানের পাম অয়েল (সুপার) ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক ধরনের পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটার ১২৬ থেকে ১৩৫ টাকা। গত ২৩ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুপার পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে। ট্যারিফ কমিশন প্রতি লিটার সুপার পাম অয়েলের দাম সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে। কমিশন প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৮ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।

গত ৩১ জুলাই বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদ সম্মেলনে জানান, চাল, মসুর ডাল, চিনি, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম অয়েল), ডিম, রড, সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়া হবে। এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য ট্যারিফ কমিশনকে এসব পণ্যের যৌক্তিক দর কী হওয়া উচিত তা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরের দিন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিজাত পণ্যের দাম বেঁধে দেয়া ঠিক হবে না।

ট্যারিফ কমিশনের এক কর্মকর্তা  বলেন, কয়েকটি পণ্যের যৌক্তিক বাজারদর কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, কৃষি বিপণন আইনে চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ডিম ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়কে। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এসব পণ্যসহ আরও বেশ কিছু পণ্যের যৌক্তিক বাজারদর নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। এ কারণে চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ডিমের দাম পর্যালোচনা না করে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম পর্যালোচনা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রড ও সিমেন্টে অনেক ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার হয়। সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য পর্যালোচনায় কিছুটা সময় লাগছে। সামগ্রিকভাবে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পাম অয়েল ও চিনির দামের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ডিমের যৌক্তিক দর কী হওয়া উচিত তা কৃষি বিপণন অধিদফতর নিয়মিত করে থাকে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর রড ও সিমেন্টের দর পর্যালোচনার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি সম্ভব হবে।

জাগরণ/অর্থনীতি/এমএ