• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ১২:৫৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৬:৫৮ এএম

তবুও চড়া আলুর বাজার

তবুও চড়া আলুর বাজার
ছবি ● ফাইল ফটো

রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫০ টাকা। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দামের জন্য হিমাগার মালিকদের দুষছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, তদারকি না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বাজারে আলুর দাম বেশি প্রায় ৬১ শতাংশ।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে গত এক সপ্তাহে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকারও বেশি। সস্তা সবজি হিসেবে পরিচিত আলু এখন আর সস্তায় মিলছে না। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ঘুরে আলুর দামের এই ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। রামপুরা, মোহাম্মদপুর, হাতিরপুল, মিরপুরের কাঁচাবাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বছরে আলুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টন। গেল অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টন। উদ্বৃত্ত থাকার পরও বাজারে বাড়ছে দাম। 

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে যত ইচ্ছে তত আলু কেনা যাচ্ছে। তবে দাম কেজিতে ৫০ টাকা। কোথাও কোথাও এই দাম এরও বেশি। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, বাজারে তদারকি না থাকার কারণেই আলুর দাম বেশি।

বিক্রেতারা দুষছেন হিমাগার মালিকদের। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ হিমাগার মালিকেরা। তাদের দাবি, বাজারে অন্য সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আলুর চাহিদা বেড়েছে। তারা দাবি করছেন, হিমাগারে আলুর পর্যাপ্ত মজুত নেই।

যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার ৩৬৫ হিমাগারে প্রায় ২৫ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখনও প্রায় ২২ লাখ টন আলু মজুত রয়েছে।

হিমাগার মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বেশি। সেই কারণে আলুর চাহিদাও বেড়েছে। আবার কৃষকেরাই বেশি দামের আশায় আলু বিক্রি করছেন না। যার ফলে সরবরাহ কম।

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে