• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:৩২ এএম

উৎপাদন বাড়লেও নাগালে আসছে না গোশতের দাম

উৎপাদন বাড়লেও নাগালে আসছে না  গোশতের দাম
ছবি ● ফাইল ফটো

সম্ভাবনা থাকার পরও উন্নত জাতের গরু পালনে এখনো পিছিয়ে দেশ। ফলে, গবাদি পশুর খামার বাড়লেও নাগালে আসছে না মাংসের দাম।

খামারিরা বলছেন, উন্নত জাতের গরু আমদানি করে মাংস উৎপাদন বাড়ানো ও দাম কমানো সম্ভব। তবে, শুধু বিদেশি নয়, দেশি জাতের উন্নয়নেও উদ্যোগ নিচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। 

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছরে মাংস উৎপাদন বেড়েছে ১৫০ শতাংশের বেশি। সরকারিভাবে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন।

এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা। ফলে, গরুর মাংস খাওয়া প্রায় বাদই দিচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। 

ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘খাবারের উচ্চমূল্য আর ভালো জাতের গরুর অভাব, ডেইরি শিল্প বিকাশে প্রধান বাধা।

দুই থেকে আড়াই বছর বয়সী দেশি গরুর ওজন যেখানে ২৫০ থেকে ৩৫০ কেজি, সেখানে ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হয় ৮০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত। তারপরও দেশে এ জাতের গরু পালন ও প্রজননের অনুমতি মিলছে না।’ 

২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্রাহমা গরু পালনে কয়েকটি প্রকল্পে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তারপর থেকেই বন্ধ এসব প্রকল্পের কাজ। তবে, ব্রাহমা আমদানি ও পালনের অনুমতির চিন্তা করছে সরকার। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, ‘মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি হচ্ছে। তাই উন্নত জাতের বিদেশি গরু পালনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।’

দেশে সবচেয়ে বেশি পালন হয় ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। মূলত দুধ উৎপাদনের জন্য এ জাতের গরু জনপ্রিয়।

জাগরণ/অর্থনীতি/কেএপি