ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৪ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এবার আলু আমদানি শুরু করা হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে তিনটি ট্রাকে এক হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪ দশমিক শূন্য ১ মেট্রিক টন আলু বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় শনিবার আলুর চালানটি বিকেল নাগাদ ছাড়ের কাজ শেষ হবে।
আলু আমদানির খবরে বেনাপোলসহ স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
বাজারে ভারতীয় আলুসহ দেশীয় নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানান ক্রেতা–বিক্রেতারা।
বাজারে আলু কিনতে আসা মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বলেন, দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে মনিটরিং বাড়ালে দাম আরও কমবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন? আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
সরকার ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে আলু আমদানির জন্য অনুমতি দেয়। বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনুমতিপ্রাপ্ত আলুগুলো আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ১৮০ ডলারে প্রতি মেট্রিক টন আলু শুল্কায়ন করা হবে। ভ্যাট ধরা হয়েছে ৬ টাকা ৭৯ পয়সা। ভারত থেকে আলু আমদানি করে দেশে আনতে সবমিলিয়ে কেজিপ্রতি খরচ হচ্ছে ২২-২৫ টাকা। ফলে বাজারে ২৮-৩০ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আলুর চালানটি বন্দরে পৌঁছাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগায় আলু পচে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিআরডিসি আলুসহ দেশে উৎপাদিত নতুন আলু আসছে বাজারে। ফলে আরও কমে আসবে দাম।
জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে